আজ - মঙ্গলবার, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:৪৭

মনিরামপুরে আসামী আটক করতে যেয়ে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ৩ সদস্য আহত।

যশোরের মণিরামপুরে মাদক কারবারি রুস্তমকে আটক করতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলায় আহত হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন সদস্য। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আগরহাটি এলাকায় ইটভাটা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। আহত তিনজন হলেন, যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুন শাকী, এএসআই শরিফ মাহমুদ ও সিপাহী তহিদুল ইসলাম। তারা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।

পুলিশ ও অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল সোমবার দুপুরে আগরহাটি গ্রামে রুস্তম নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করতে যায়। সেখানে একটি ঘরে তাস খেলছিলেন কিছু লোক। অভিযানে অংশ নেয়া দল সোর্সের ভুলের কারণে সঠিক ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে স্থানীয়রা তাদের উপর হামলা চালায় এবং তিন সদস্যকে মারপিট করে। পরে নিজেদের গাড়ি ফেলে পালিয়ে আসেন অধিদপ্তরের সদস্যরা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যশোর শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবুল কাশেম বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা রুস্তমকে আটক করতে গিয়েছিলাম। তবে সোর্সের ভুলের কারণে সঠিক ব্যক্তিকে ধরতে পারিনি। স্থানীয়দের সাথে আমাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। তবে আহত হওয়ার বিষয়টি আমি নিশ্চিত নয়।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে না, তবে আমরা মাদক কারবারি রুস্তমকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রাখব।”

এদিকে, অভিযানের ধারাবাহিকতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আরও একটি সফল অভিযান চালায়। সোমবার দুপুরেই সুন্দলপুর এলাকা থেকে নজরুল ইসলাম (৫০) নামক এক ব্যক্তিকে গাঁজাসহ আটক করা হয়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নজরুলকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আলেক উদ্দিন বলেন, “তিন ব্যক্তি আহত হয়ে আমাদের জরুরি বিভাগে এসে নিজেদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্য পরিচয় দেন। আমরা তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।”

মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দলের চেয়ে অপরাধীদের সংখ্যা বেশি ছিল। অভিযানের সময় অপরাধীরা ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় এবং সেই ধাক্কায় তিন সদস্য আহত হয়েছেন।”

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত