কুমিল্লা প্রতিনিধি,কুমিল্লার দাউদকান্দিতে দুইটি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কারচুপির সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি সমর্থকরা। তারা রীতিমতো হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে এই হামলা চালায়। এতে তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টামটা ঈদগা মাদ্রাসা ও কেন্দ্রে এ হামলা হয়। কেন্দ্র দুইটি পাশাপাশি ছিল।
এই ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী করেছে আনোয়ার হোসেনকে।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা জানান, তারা টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাশে লাগোয়া টামটা ঈদগা মাদ্রাসা কেন্দ্রে ঢুকে দেখতে পান বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের এজেন্ট ও সমর্থকরা কেন্দ্রের ভেতর ও বুথে এলোমেলোভাবে বসে আছেন। সাংবাদিকরা তাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের কার্ড দেখতে চান ও ছবি তুলতে থাকেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিত-ায় জড়ান।
এ সময় কয়েকজন হ্যান্ড মাইকে বিএনপির সমর্থকদের ওপর হামলার বিষয়ে ঘোষণা দেন। পরে বিএনপির আরও লোকজন এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করে মারপিট করে।
হামলায় দীপ্ত টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি শাকিল মোল্লা, বিজয় টিভির আলাউদ্দিন আজাদ ও ক্যামেরাপারসন জাহাঙ্গীর আলম আহত হন। এসময় গাড়ি ও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একই উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের নারান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের অদূরে রাস্তার পাশ থেকে পুলিশ চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রাম দা, ছুরি, হকিস্টিক, বেজবলসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা উদ্ধার করেছে।
দাউদকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল আহসান জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আজ কুমিল্লার চার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচন এবং তিনটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়।
কারচুপির অভিযোগ এনে ১২টি ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারাই ভোট দিয়েছেন এবং জাল ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
তবে যে প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন তাদের মধ্যে ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছিলেন না।