আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৩:০৩

মাগুরার মহম্মদপুরে মন্দিরে আগুন

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পড়ুয়ারকুল গ্রামের একটি মন্দির আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে মন্দিরের প্রার্থণার ঘরসহ তিনটি ঘর আংশিক পুড়ে গেছে। এর একটি রান্নাঘর এবং একটিতে সেবায়েতরা থাকে। তবে, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মন্দিরে থাকা রথটি পুড়ে গেলেও বিগ্রহ (মূর্তি) অক্ষত রয়েছে।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলামসহ জেলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেইসাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না রানী বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, পড়ুয়ারকুল অষ্টগ্রাম রাধাগোবিন্দ মন্দিরের প্রার্থণার ঘরসহ তিনটি ঘর আগুনে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্য দু’ঘরের একটি রান্নাঘর এবং একটিতে সেবায়েতরা থাকেন। তবে, ঘটনার রাতে কেউ সেখানে ছিলেন না।
তিনি জানান, সোমবার ভোরে পরিচ্ছন্নতাকর্মী গুরুদাস মন্দিরে এসে আগুন দেখতে পেয়ে মন্দির কমিটির সচিব লক্ষণ গোলদারকে জানান। সাথে সাথে সচিব বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়।

মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুন্ডু ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এটাকে ‘নাশকতা’ বলে অভিহিত করেন।
মহম্মদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী জানান, খবর পেয়ে মাগুরার জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল, ওসি তারকনাথ বিশ্বাস, বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ আলী এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, এটা দুর্ঘটনা না নাশকতা তা তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না।  
পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম ঘটনার তদন্ত করা হবে জানিয়ে বলেন, এর সাথে নাশকতার কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত