স্টাফ রিপোর্টার : যশোরে মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে ছাত্রলীগের নেতা আরিফুজ্জামান আরিফ (২৭)। শনিবার সন্ধ্যার দিকে শেখহাটির জোড়াপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের আব্দুর রবের ছেলে। আরিফ শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে। আহত শেফালীসহ পুলিশ ৪জনকে আটক করেছে।
মামুনের ভাই বিল্লাল ও স্থানীয়রা জানান, নিহতের মামুন ও আরিফের বন্ধু বাপ্পা তার পরিচিত এক মেয়েকে নিয়ে শেখহাটিতে যায়। জোড়পুকুর এলাকার শেফালীর দুই ছেলে সাগর ও হৃদয় তাদেরকে আটকে রাখে।
এ সময় বাপ্পা মামুনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে মামুন ও আরিফ দুইজনে সন্ধ্যার দিকে শেখহাটিতে যায়। সেখানে সাগর ও হৃদয়ের সাথে বাপ্পা ও মেয়েটি আটকে রাখার বিষয় নিয়ে বাকবিতান্ড হয়। এসময় সাগরের মা শেফালী এগিয়ে আসলে মামুন তাকে মারতে উদ্যত হয়।
এসময় তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ফয়সাল, সাগর, হৃদয়, মামুন ও আরিফকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ঠেকাতে গেলে আরিফ ও শেফালী দুইজনে আহত হয়। মামুনের মৃত্যু হয়েছে জেনে সাগর, হৃদয় ও ফয়সাল শেফালীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে শেফালীকে ফেলে হৃদয়, সাগর ও ফয়সাল চলে যায়।
জরুরী অবস্থায় মামুন ও আরিফকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক কল্লোল কুমার সাহা মামুনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আর আরিফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক কল্লোল কুমার সাহা জানান, মামুনের শরীরের কয়েকটি জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। আর আরিফের অবস্থা আশংকাজনক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেফালীকে পুলিশ আটক দেখিয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে আটক করেছে। কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার ও এসআই আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।