গত ২১শে মার্চ বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় তুষার আহমেদ জীবন নামের একজন ইজিবাইক ড্রাইভারকে। অজ্ঞাত ব্যক্তি কোতয়ালী থানা মোড় থেকে ভাড়ায় মনিহারে নিয়ে যায়।পথ্যি মধ্যে আরএন রোডে একটি দোকান থেকে বিস্কুট ক্রয় করে বিস্কুটের সাথে চেতনা নাশক অসুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে খালধার রোডে ফেলে দিয়ে ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞানপার্টি চোরচক্র।
অজ্ঞান করে ইজিবাইক চুরির আরো একটি ঘটনা ঘটে ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকার সময় জাকির হোসেন নামের একজন ইজিবাইক ড্রাইভারকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা চাচড়া বাজারে জনতা ব্যাংকের সামনে নিয়ে সুমনের চা দোকান থেকে চা এর সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে জনতা ব্যাংকের পাশে খালি জায়গায় ড্রাইভারকে ফেলে রেখে ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
যশোর এলাকায় একের পর এক অজ্ঞান করে চুরি ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, নির্দেশে ওসি রুপন কুমার সরকার, তত্ত্বাবধানে ডিবি’র এলআইসি টিম তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অজ্ঞাত ব্যক্তির ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সনাক্ত হয়। এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে এসআই শফি আহম্মেদ রিয়েল, রঞ্জন কুমার সাহার সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম ১৭ এপ্রিল বিকাল ৫.৩০ ঘটিকার সময় মাইক পট্টি থেকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করে তার দেওয়া তথ্য মতে চুরির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। যশোর পূর্ব বারান্দিপাড়া ও মাগুরা মুহম্মদপুর থানাধীন আড়পাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে চোরাই মালামাল ক্রেতা মোঃ নজরুল ইসলাম খানকে গ্রেফতার করে ২টি পৃথক ঘটনার ২টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।অভিযানের সময় নজরুল ইসলাম খানের হেফাজত থেকে আরো ১টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করে মোটরসাইকেল এর ইঞ্জীন,চেসিস নাম্বারের তথ্য মতে জানা যায়. গাড়িটি ২৮/০৯/২০২১ তারিখে যশোরের সিতারামপুর তারা মসজিদের সামনে থেকে মাগরিবের নামাজরত মুসল্লী শওকত এর মোটরসাইকেলটি চুরি হওয়া মোটরসাইকেল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ, অজ্ঞানপার্টির সদস্য আলী রেজা রাজু, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ ৮টি অজ্ঞানসহ চুরি মামলা রয়েছে। পেশাদার আন্তঃজেলা অজ্ঞানপার্টির সদস্য বলে জানা যায়।