আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১০:৫১

যশোরে আওয়ামীলীগের ৯৬ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা।

: ৬ বছর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদর নির্বাচনের দিন যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ধারালো অস্ত্র, বোমা, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ৯৬জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০/৩০০ জনের নামে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।

পুলিশ এই মামলায় একজনকে আটক করেছে। বিএনপির কর্মী হামিদপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট মুন্সী মঞ্জুরুল মাহমুদ (৫৪) ওই মামলাটি করেন।

আসামিরা হলো, সদর উজেলার সুলতানপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন (৫৬), জব্বার গাজী (৪৮), সরদার ফরিদ আহমেদ (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৪২), তন্ময় (২৬), আরিফুল ইসলাম (২৪), জাকির হোসেন (২৬), শাহবুদ্দিন (৩৭), দেলোয়ার রহমান দিপু (৩৮), ডেঞ্জার দিপু (২৮), আতর আলী (৫৮), মোকলেছ (৫০), মিজানুর রহমান (৪৫), শফিয়ার রহমান (৪৫), খালিদ (৫৫), চানপাড়ার মনিরুজ্জামান মনির (৪২), ফিরোজ (৩৮), আবুল খায়ের (৫৮), হিরাজ (৩৪), টিপু সুলতান (৪০), তারেক (৩৫), ইকবাল (৩৮), নালিয়া গ্রামের টিটো (৩০), মুজিবর রহমান (৩০), ধানঘাটা গ্রামের হাকিম শেখ (২৮), ঝুমঝুমপুর এলাকার জাবেদ (৩৫), চয়ন (৩৫), সবুজ (২২), কুদ্দুস (৩৫), কাঞ্চন (৩৮), মশিয়ার (৪০), সেলিম (৪৫), রাজু (২৮), সোহেল (৩০), রাজু (২৮), রাজন (৩০), হাসান (৩৫), ছনু (৫২), বাবলু (৩৫), মনা (৫৬), কাজী শাহজাহান (৬৫), খায়ের (৪২), বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আকবার হোসেন (৬৮) হালিম বিশ্বাস (৩৫), রবিউল ইসলাম (৩৮), আব্দুর রব (৪২), বাদশা (৪৪), মামুন (২৫), ময়না (২৪), রুস্তম (৪৪), জসীম উদ্দিন (৫২), শাওন (২৫), আল আমিন (২৬), হাসনাত (২৪), লিয়াকত আলী (৫২), রেজাউল ইসলাম (৫৫), হামিদপুর গ্রামের শাহাদৎ হোসেন (৪৮), শরিফুল ইসলাম (৪২), শেখ আলী আকবর (৫২), লিটন (৩৮), সরোয়ার হোসেন (৩৬), সীতারামপুর গ্রামের মাসুম বিল্লাহ (৩৮), উজ্জল (২৮), তবিবর (৫০), চাঁন মিয়া (৫৪), ওমর আলী (৫৪), মতলেব (৪২), দায়তলা গ্রামের হাসান (২৮), জিয়াউর রহমান (৪২), রিয়াজুল (৩৮), সবুর (৪৫), রফিকুল (৩৪), নিকমল (৫২), সাত্তার সরদার (৬৫), আজগর আলী (৫২), মারিফুল (৩২), ফতেপুর গ্রামের তৌহিদ (৩৮), তরিকুল ইসলাম (৩৬), রাজু আহম্মেদ (৩৪), মফিজুর রহমান (৪০), তবিবর রহমান (৫৪), শহিদুল মাষ্টার (৫৪), ভায়না গ্রামের বাহারুল ইসলাম (৪৪), আইয়ুব মোল্লা (৪৫), চানপাড়ার মারজান (৩৮), রফিকুল (৫৫), আলী মুনসুর (৬০), মাহমুদুল (৩৫), শরিফুল ইসলাম (৩৮), রাজাপুর গ্রামের সেলিম হোসেন (৫০), রউফ (৫০), শহিদুল মাষ্টার (৫০), বাগডাঙ্গা গ্রামের হরিচাঁদ (৫২), বাউলিয়া গ্রামের মাসুদুর রহমান (৫০), বায়েজিদ হোসেন (৩৫), ফরহাদ হোসেন (৩৫) এবং ইউনুস আলী (৪০)।

এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় ভোটকেন্দ্রে ঢোকে এবং নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি বর্ষণ করে। এতে সে সময় ঘটনাস্থলের মানুষ দিকবিদিক ছোটাছুটি করে। এলোপাতাড়ি ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির ৫০/৬০জন নেতাকর্মী আহত হয়। সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রে দখল করে নেয়। এরপর থেকে তারা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করতে থাকে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলে সকলে পলাতক জীবন যাপন করতে থাকে। এই সময় বিচারের উপযুক্ত পরিবেশ থাকায় আসামিদের নামে মামলা করেন।

এই মামলা হওয়ার পর পুলিশ আসামি নিকমল হোসেনকে আটক করেছে এবং বুধবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

আরো সংবাদ