আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৩:১৭

যশোরে কে পেল কোন প্রতিক!

যশোর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৫ ইউনিয়নে ৮৫ জন চেয়ারম্যানসহ ৯৪৮ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার সংশ্লিষ্ট রিাটার্নিং কর্মকর্তা এ প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। সোমবার বিকেল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রার্থীদের পক্ষে পথসভা করা হয়েছে।

পঞ্চম দফায় আগামী ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনে যশোর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ২১৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ইউনিয়নগুলোর চার লাখ ২১ হাজার ৭৩১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ১২ হাজার ৭৫৮ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ আট হাজার ৯৭২ জন। যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী এ তথ্য জানান।

এদিকে, যশোরের সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওয়াপাড়া, উপশহর ও কচুয়া ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তিনি জানান, নওয়াপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজিয়া সুলতানাকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোশাররফ হোসেনকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলমগীর হোসেন ঘোড়া, আলতাফ হোসেন আনারস, হুমায়ন কবির তুহিন মোটরসাইকেল এবং এসএম আসাদুল আলম ঝন্টুকে চশমা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ২০ ও সাধারণ ৪৯ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৯টি ভোট কেন্দ্রে ৪৪ হাজার ১২১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ২২ হাজার ১৭ জন পুরুষ ও ২২ হাজার ১০৪ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

উপশহর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এহসানুর রহমান লিন্টুকে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শওকত হোসেন রত্মকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ৭ ও সাধারণ ২৪ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ৯টি ভোট কেন্দ্রে ১৩ হাজার ২১৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ছয় হাজার ২১৪ জন পুরুষ ও ৬ হাজার ৯৯৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

কচুয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফর রহমান ধাবককে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী বাবুল হুসাইনকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মাহমুদ হোসনকে মোটরসাইকেল, আব্দুর রশীদকে চশমা, মোহম্মদ আসদুজ্জামানকে অটোরিকসা, কাজী হাফিজুর রহমানকে ঘোড় ও হাফিজুর রহমান খাঁনকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ৮ ও সাধারণ ৩৪ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ৯টি ভোট কেন্দ্রে ২০ হাজার ১৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১০ হাজার ৩১৭ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ৮১৮ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

লেবুতলা ও ইছালী ইউনিয়নে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাইদুর রহমান রেজা। তিনি জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলীমুজ্জামান। তাই চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। এখানে সংরক্ষিত ১১ ও সাধারণ ৩৯জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ৯টি ভোট কেন্দ্রে ১৭ হাজার ১২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ৮হাজার ৬৮৭ জন পুরুষ ও ৮ হাজার ৪৩৪ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

ইছালীর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেরদৌসি ইয়াসমিনকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল কাদেরকে হাতপাখা, জাকের পার্টির সাইফুর রহমানকে গোলাপ ফুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলামকে ঘোড়া, জাহিদুল ইসলামকে চশমা, আয়ুব হোসেনকে মোটরসাইকেল ও আজিজুর রহমানকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ১০ ও সাধারণ ৩৫ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১০টি ভোট কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৬৮৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ৯ হাজার ৪৩৭ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ২৫২ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

হৈবতপুর ও চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম। তিনি জানান, হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবু সিদ্দিককে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সোহরাব হোসেনকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হরেণ কুমার বিশ্বাসকে মোটরসাইকেল ও আহম্মদ আলীকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত ১২ ও সাধারণ ৪৫ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৪টি ভোট কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৯৩০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৩ হাজার ২০৬ জন পুরুষ ও ১২৭২৩ জন নারী ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দাউদ হোসেনকে নৌকা, জাকের পার্টির মতিয়ার রহমানকে গোলাপ ফুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্বাস উদ্দিন বিশ্বাসকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নাকে আনারস, আলমগীর কবিরকে টেলিফোন, গোলাম মোস্তফাকে চশমা, সাইফুল ইসলামকে অটোরিকশা ও মোহাম্মদ বাদশাকে মোটরসাইকেল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ১৩ ও সাধারণ ৪১ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৫টি ভোট কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৫৩৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ ও ১৫ হাজার ৭৫ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

দেয়াড়া ও আরবপুর ইউনিয়নে এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিয়াকত আলীকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল্লাহকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে আনারস, জিয়াউল হককে ঘোড়া, মাসুদ রানাকে মোটরসাইকেল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত ১১ ও সাধারণ ৫৮ প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৫টি ভোট কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৩৪১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৪৬ জন পুরুষ ও ১৪ হাজার ২৯৫ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মীর আরশাদ আলীকে নৌকা, জাকের পার্টির প্রার্থী গাজী রফিকুল ইসলামকে গোলাপ ফুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাবিবুর রহমানকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী কাসেমকে টেবিল ফ্যান, সামসুর রহমানকে আনারস, নুরুল ইসলামকে ঘোড়া, আসাদুজ্জামানকে চশমা ও খন্দকার ফারুক আহমেদকে মোটরসাইকেল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত ১২ ও সাধারণ ৫৩ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৬টি ভোট কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৭৩৪ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৬ হাজার ২১৯ জন পুরুষ ও ১৬ হাজার ৫১৫ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

রামনগর ও চাঁচড়া ইউনিয়নে এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হুদা। তিনি জানান, রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজনীন নাহারকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুস সাত্তার তরফদারকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনকে চশমা, মাহমুদ হাসান লাইফকে মোটরসাইকেল, কামরুজ্জামানকে ঘোড়া, মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে টেলিফোন, এমদাদুল হককে আনারস ও জুলেখা বেগমকে অটোরিকশা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ১৩ ও সাধারণ ৪৮ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৫টি ভোট কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৫১৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৩৮৮ জন পুরুষ ও ১৫ হাজার ১২৬ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিম রেজা পান্নুকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শামসুর রহমানকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম রেজাকে আনারস ও ফারুখ হোসেনকে মোটরসাইকল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এখানে সংরক্ষিত ১৫ ও সাধারণ ৫৩ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৭টি ভোট কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৩২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৮ হাজার ২৭৫ জন পুরুষ ও ১৮ হাজার ৪৬ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

বসুন্দিয়া ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন মিয়া। তিনি জানান, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেলকে নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী তুহিন খানকে লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ শাহাবুদ্দীনকে আনারস, নুরুজ্জামান খানকে মোটরসাইকেল ও মমিনুল ইসলাম আমিনুলকে ঘোড়া প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ১৩ ও সাধারণ সদস্য ৫১জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৭টি ভোট কেন্দ্রে ২৯ হাজার ২০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৫৯ জন পুরুষ ও ১৪ হাজার ৩৪৩ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোদাচ্ছের আলীকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ওলিয়ার রহমানকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজু আহমেদকে আনারস, জাকির হোসেনকে মোটরসাইকেল, ফেরদৌস আলমকে ঘোড়া প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ১৮ ও সাধারণ ৪৬ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৪টি ভোট কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৭৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৩ হাজার ২০১ জন পুরুষ ও ১২ হাজার ৮৭৮ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

ফতেপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নে এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা কষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, ফতেপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সোহরাব হোসেনকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ওসমান গণিকে হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামকে টেবিলফ্যান, ফাতেমা আনোয়ারকে ঘোড়া, আলমগীর হোসেনকে মোটরসাইকেল ও শিল্পী খাতুনকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ১৬ ও সাধারণ ৭১ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ২০টি ভোট কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৭২০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৮ হাজার ৪৬৮ জন পুরুষ ও ১৮ হাজার ২৫২ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

কাশিমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরিফুল ইসলামকে নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা এনামুল বারীকে আনারস, বিএম সাইফুলকে মোটরসাইকেল ও আইয়ুব হোসেনকে ঘোড়া প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ১৫ ও সাধারণ ৬৩ জন প্রার্থীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৬টি ভোট কেন্দ্রে ৩১ হাজার ৭৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৯৬১ জন পুরুষ ও ১৫ হাজার ১১২ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যশোরের কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭জন। ২০ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচন অফিস মোঃ বজলুর রশিদ তথ্যটি জানান।

নির্বাচন অফিস সূত্র থেকে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১১জন নৌকার, ইসলামী আন্দোলন বাংরাদেশ (হাতপাকা) ০৮জন সহ স্বতন্ত্র ২৮ জনের মাঝে প্রতিক দেওয়া হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউপিতে ৪৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক বরাদ্ধ

এক নজরে কে পেল কোন প্রতিক-

১নং ত্রিমোহনী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক – শেখ অহিদুজ্জামান (নৌকা),স্বতন্ত্র আনিছুর রহমান (আনারস), আব্বাস আলী (ঘোড়া),শেখ কবির হোসেন (চশমা),জাহাঙ্গীর আলম (মোটরসাইকেল)।

২নং সাগরদাঁড়ি চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক অলিয়ার রহমান (নৌকা), ইসমাইল হোসেন (হাতপাকা), স্বতন্ত্র কাজী মোস্তাফিজুর রহমান মুক্ত (চশমা), শাহাদাৎ হোসেন (আনারস), আকরাম খান (মোটরসাইকেল), আমানত আলী (ঘোড়া)।

৩নং মজিদপুর চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক মনোজ কুমার তরফদার (নৌকা), আব্দুল লতিফ (হাতপাকা), স্বতন্ত্র হুমায়ুন কবির পলাশ (আনারস)।

৪নং বিদ্যানন্দকাটি চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক মাষ্টার শামসুর রহমান (নৌকা), হজরত আলী (হাতপাকা), স্বতন্ত্র আমজাদ হোসেন (আনারস), কে এম খলিলুর রহমান (মোটরসাইকেল)।

৫নং মঙ্গলকোট চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক আব্দুল কাদের বিশ্বাস (নৌকা), মিজানুর রহমান (হাতপাকা),স্বতন্ত্র মনোয়ার হোসেন (আনারস), এস এম কামরুজ্জামান লিটন (মোটরসাইকের)।

৬নং সদর কেশবপুর চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক গৌতম রায় (নৌকা), আনিচুর রহমাম (হাতপাকা), স্বতন্ত্র আলাউদ্দীন আলা (মোটরসাইকেল), জাহাঙ্গীর আলম (চশমা), আইয়ুব আলী (আনারস)।

৭নং পাঁজিয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক জসীম উদ্দিন (নৌকা), আব্দুল হামিদ (হাতপাকা), সতন্ত্র মকবুল হোসেন মুকুল (আনারস), মিহির কুমার বস (চাশমা)।

৮নং সুভলাকাটি চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক গোলাম কিবরিয়া মনি (নৌকা), আব্দুল আহাদ (হাতপাকা), স্বতন্ত্র এস এম মনজুর ইসলাম (চশমা), মহির উদ্দিন (আনারস)।

৯নং গৌরিঘোনা চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক এস এম হাবিবুর রহমান (নৌকা), স্বতন্ত্র মাসুদুর রহমান (চশমা), শেখ রুবল হাসনাত পাশা (মোটরসাইকেল), এস এম আলিমুজ্জামান রানা (আনারস)।

১০নং সাতবাড়ীয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক মোছাঃ শাসছুন্নাহার (নৌকা), সাইফুল ইসলাম (হাতপাকা), স্বতন্ত্র গোলাম মোস্তফা বাবু (চশমা), রেজাউল ইসলাম (মোটরসাইকেল), উত্তম কুমার ঘোষ (আনারস)।

১১নং হাসানপুর চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিক তৌহিদুজ্জামান (নৌকা), আব্দুল গফ্ফার মোড়ল(হাতপাকা), স্বতন্ত্র মাহাবুবর রহমান মল্লিক (আনারস), আলমগীর হোসেন (মোটরসাইকেল)।

উল্লেখ্য, আগামী ৫জানুয়ারী কেশবপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

আরো সংবাদ