যশোরে এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ ৩ জন ছুরিকাহত হয়েছেন। গত শনি ও রোববার পৃথক ঘটনায় ছুরিকাঘাতে জখম হন তারা।
আহতরা হলেন, সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী তানভীর ইসলাম নাবির (১৯), শেখহাটির তরফ নওয়াড়ার মৃত শরাফত চৌধুরীর ছেলে জাহিদ হাসান (৩৮) ও রামনগর গ্রামের মোল্যাপাড়ার আবু তালেবের ছেলে আল আমিন (১৮)। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নাবির নামে একজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত নাবির জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা নিয়ে শনিবার বিকেলে ঝুমঝুমপুর বাবলাতলা এলাকার রাব্বির সাথে তার গোলযোগ হয়। এরই জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় বাবলাতলার অদূরে মাঠের মধ্যে তাকে একা পেয়ে কয়েকজন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ঝুমঝুমপুর বাবলা তলার রাব্বি, ইয়াসিনসহ আরও কয়েকজন তার ওপর হামলায় জড়িত। দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নাবির আলহেরা ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এইচএসএসি পাস করেছেন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালপুর স্কুলের পেছনে মারুফ হোসেনের স’মিলে কাজ করার সময় শ্রমিক জাহিদ হাসান ছুরিকাহত হন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সুলতানপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে আরিফের নেতৃত্বে ৩ দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে তাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে জখম করে। অন্য শ্রমিকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে, শনিবার রাতে রামনগরের আমতলা পুকুর পাড় এলাকায় ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়ে ছুরিকাহত হন আল আমিন নামে একজন। আহত জানিয়েছেন, অজ্ঞাত এক যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করে করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জখম অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুর রহমান জানান, ছুরিকাহত তিনজনের মধ্যে নাবিরের অবস্থা আশঙ্কাজন। ছুরির আঘাতে তার ফুসফুস ছিদ্র হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।