আজ - মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৯:৪৭

যশোরে টিকা নিলেন এক লাখ তিনশ’ ৮৩, খুলনা বিভাগে মোট ছয় লাখ ছয়শ’ ২৮ জন।

যশোরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। ১৬ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত যশোর জেলায় ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এক লাখ তিনশ’ ৮৩ জন। এ নিয়ে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় গত ৩৮ দিনে ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ছয়শ’ ২৮ জনে।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি যশোরসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। প্রথম দিন থেকেই ব্যাপকহারে জনগণের সাড়া পাওয়া গেছে। ভ্যাকসিন গ্রহণ কার্যক্রম উৎসব হিসেবে গ্রহণ করেছে মানুষ। প্রতিদিনই অনলাইন নিবন্ধনসহ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের সরব উপস্থিতি কার্যক্রমকে সফল করছে। তারই ফলশ্রুতিতে মাত্র ৩৮ দিনে ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা এক লাখ অতিক্রম করেছে।
সিভিল সার্জন আরও জানিয়েছেন, যশোরবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রথম দফায় গত ৩১ জানুয়ারি ৯৬ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ আসে। মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় নতুন করে টিকা পাঠানোর চাহিদা দেয়া হয়। ১০ মার্চ সরকার আরও ২০ ডোজ টিকা দিয়েছে।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্বিঘ্নে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলছে। যশোর সদর উপজেলার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এ জেলায় ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৪৭ হাজার নয়শ’ ২৮ জন। এছাড়াও অভয়নগরে আট হাজার চারশ’ ৫৩, বাঘারপাড়ায় ছয় হাজার সাতশ’ সাত, চৌগাছায় পাঁচ হাজার দুশ’ ৯৯, ঝিকরগাছায় সাত হাজার ছয়শ’ ১৭, কেশবপুরে সাত হাজার আটশ’ ৪৮, মণিরামপুরে ১৩ হাজার তিনশ’ ১৯ এবং শার্শা উপজেলায় নয় হাজার দুশ’জন করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনের দিন থেকে (শুক্রবার ও রাষ্ট্রীয় ছুটি ব্যতিত) ১৬ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৮ দিনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ছয় লাখ ছয়শ’ ২৮ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ এক লাখ ৪৯ হাজার একশ’ ৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যশোর জেলা।
এছাড়াও, বাগেরহাটে ৪৮ হাজার তিনশ’ ১১, ঝিনাইদহে ৫৯ হাজার তিনশ’ ৫৫, কুষ্টিয়ায় ৫৮ হাজার দুশ’ ৬১, মাগুরায় ৩৩ হাজার পাঁচশ’ ৭৮, নড়াইলে ২৫ হাজার একশ’ ৩৩, সাতক্ষীরায় ৬৬ হাজার একশ’ ৯৩, চুয়াডাঙ্গায় ৪৬ হাজার দশজন এবং মেহেরপুরে ১৪ হাজার দুশ’ ৩৮ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার যশোরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিয়েছেন এক হাজার পাঁচশ’ ছয়জন। তাদের মধ্যে পুরুষ আটশ’ ৬৮ ও নারী ছয়শ’ ৩৮ জন। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তিনশ’ ৬৫ জন। এর মধ্যে একশ’ ৯০ জন পুরুষ ও একশ’ ৭৩ জন নারী রয়েছেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে ছয়জন পুরুষ ও চারজন নারী, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চারজন পুরুষ ও দু’জন নারী, যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে ৭৬ জন পুরুষ ও ছয়জন নারী টিকা গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুরুষ ৭৯ ও নারী ৬১ জন, বাঘারপাড়ায় পুরুষ একশ’ ১৫ ও নারী ৮৫, চৌগাছায় ৪৫ পুরুষ ও নারী ২৩ জন, ঝিকরগাছায় ৪৪ জন পুরুষ ও নারী ৩৮ জন, কেশবপুরে পুরুষ একশ’ ১৫ জন ও নারী ৬৭ জন, মণিরামপুরে পুরুষ একশ’ ৫৩ ও নারী একশ’ ৪৫ জন এবং শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুরুষ ৪৫ ও একশ’ ৩২ জন নারীকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।

আরো সংবাদ