যশোরে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে (২৩) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে বাবা-ছেলেকে।
আসামিরা হলেন সদর উপজেলার বাহাদুরপুর আড়পাড়া গ্রামের আলী আকবর (৬০) ও তার ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২)।
এজাহারে ওই নারী (২৩) উল্লেখ করেছেন, তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে হুমায়ুন কবিরের সাথে তার পরিচয় হয়। হুমায়ুন সে সময় নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন। পরিচয়ের পর থেকে তারা বিভিন্ন সময় কথা বলতেন। এক সময় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই দফা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন হুমায়ুন কবির। পরবর্তীতে কারণে অকারণে মিথ্যা কথা বলে তার কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকাও নেন। তার মায়ের পছন্দের কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান এবং গত ২৭ মার্চ দুপুরে তার বাড়িতে ফের শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন হুমায়ুন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ওই নারীর কাছে ৫০ লাখ টাকাও দাবি করেন হুমায়ুন কবির। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন । এব্যপারে ওই নারী হুমায়ুনের বাবার কাছে গিয়ে সবকিছু খুলে বলেন এবং তাদের বিয়ের কথা বললে পিতা আলী আকবর এ সম্পর্ক না মেনে ছেলের পক্ষে সাফাই গান।
পরে ওই নারী খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন হুমায়ুন একজন প্রতারক। তিনি ডাক্তার নন। উচ্চবিত্তের পরিবারের সন্তান পরিচয় দিয়ে তিনি চারকিজীবী নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। বিয়ের কথা বললে তাদের সম্পর্কের কথা মানুষজনকে জানিয়ে দেবেন বলে ব্লাকমেইলিং করেন।