আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৯:৫৮

যশোরে প্রকাশ্যে আনসার সদস্যকে গুলি করে হত্যা।

খান জাহান আলী 24/7 নিউজ :: যশোরে আনসার ব্যাটালিয়নের বিশেষ সদস্য হোসেন আলী তরফদারকে (৫৫) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা।

আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে যশোরের সদর উপজেলাধীন হাকিমপুর বাজারে এক চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিল নিহত আনসার সদস্য হোসেন আলী। এসময় দুর্বৃত্তরা অতর্কিত গুলি করে তাঁকে হত্যা করে।

হোসেন আলী যশোর সদর উপজেলার হাসিমপুর গ্রামের তরফদারপাড়ার আরশাদ আলী তরফদারের ছেলে। তিনি আনসার ব্যাটালিয়নের বিশেষ সদস্য পদে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। তিন দিনের ছুটিতে তিনি বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে।


স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সকালে হোসেন আলী বাড়ি থেকে হাশিমপুর বাজারে বাজার করতে আসেন। বেলা ১১ টার দিকে তিনি বাজারে মোশাররফের চায়ের দোকানের সামনে যান। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সেখানে গিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে ৪/৫টি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাজার অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ে। হোসেন আলীর লাশ বাজারে রাস্তার পাশেই পড়ে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।

হোসেন আলী তরফদারের ভাইপো সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,
আমার চাচা হোসেন আলী তরফদার ঢাকার মিরপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনদিন আগে ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছেন। আজ সকালে যশোর সদরের ভেকুটিয়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আমরা জানতে পারি চাচা হাশিমপুর বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এসপি বলেন, ‘নিহত হোসেন আলী একসময় নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ৯০–এর দশকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করানোর উদ্যোগ নেন। তখন হোসেন আলীও আত্মসমর্পণ করেন। তখন পুনর্বাসনের জন্য তাঁকে আনসার ব্যাটালিয়নের বিশেষ সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আগের কোনো শত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আরো সংবাদ