এলাকাবাসী জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন- বাড়িটির একটি দেয়াল ও সীমানা প্রাচীর বিধ্বস্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক পুলিশে জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বন্দর থানা পুলিশ ও শার্শা থানার ওসি মামুন খান। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা। তারা বিধ্বস্ত দেয়াল দুটি দেখেন এবং বিস্ফোরণের বিষয়ে খোজ খবর নেন। তবে কে বা কারা বোমাটি সেখানে রেখেছিলো বা কীভাবে সেটি ফেটেছে- তা জানা যায়নি।
বেনাপোল বন্দর থানার ওসি কামাল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, দ্বোতলা বাড়িটির ওপরের তলায় থাকেন বাড়িওয়ালার বৃদ্ধ বাবা ইরফান আলী। তার দুই ছেলে ঢাকায় থাকেন। নিচতলায় কয়েকটি কক্ষ আছে। সেগুলো ভাড়া দিতেন ইরফান। মাস খানেক আগে তার কাছ থেকে একটি ঘর ভাড়া নেন এক ব্যক্তি। তার নাম জানাতে পারেননি আতঙ্কগ্রস্ত বৃদ্ধ। তবে ওই ব্যক্তি বন্দরে কোনো এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তিনি নিয়মিত কক্ষটিতে থাকেন না। ঘটনার সময়ও তিনি নিজ ঘরে ছিলেন না। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তাদের সন্ধানে অভিযান চলছে। তাদের কাউকে পাওয়া গেলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।