আজ - রবিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:৫৪

যশোরে বোমা হামলায় তরুণলীগ নেতা মনিরুল নিহত!

নাইম সাব্বির:  যশোর জেলা তরুণ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম (৩৫) দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন।। আজ রাত সাড়ে ১১টার পর শহরের পালবাড়ি ভাস্কর্যের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।  এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন সন্তোষ ঘোষ নামে আরেকজন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বোমা হামলায় নিহত তরুনলীগ নেতা মনিরুল।

নিহত মনিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন চাকলাদারের অনুসারী ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, কাজী নাবিল অনুসারী সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
নিহত মনিরুল ইসলাম (৩৮) পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে। টালিখোলা এলাকার জমিজমা বিক্রি করে দিয়ে তারা সম্প্রতি পাগলাদহ এলাকায় উঠে গেছেন। আর আহত সন্তোষ ঘোষ (৩৬) পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া এলাকার নারায়ণ ঘোষের ছেলে।
হাসপাতালে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা  জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে মনিরুল ও সন্তোষ পালবাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একই এলাকার মোস্ত, রবিউলসহ ৭-৮ সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ্য করে পর পর ছয়টি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে মনিরুলের মাথাসহ শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এর পর সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। সন্তোষও বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন।
সন্ত্রাসীরা চলে গেলে উপস্থিত লোকজন দুইজনকেই জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার কল্লোলকুমার সাহা জানান, পথেই মৃত্যু হয়েছে মনিরুলের। তার শরীরে বোমার স্প্লিন্টার ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আর সন্তোষের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা বলছেন, চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মতে, সম্প্রতি মনিরুলের ভাই শাহরিয়ার ওই এলাকায় জমি কেনেন। এই বাবদ সন্ত্রাসী মোস্ত তার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় মাস দেড়েক আগে তারা শাহরিয়ারের ওপরও হামলা করেছিল।
উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য এহসানুর রহমান লিটু  জানান, সন্ত্রাসীরা মনিরুল ও সন্তোষকে লক্ষ্য করে বোমা মারে, গুলি ছোড়ে। পরে তাদের কোপানো হয়।
জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন  জানান, নিহত মনিরুল জেলা তরুণলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আর আহত সন্তোষ যুবলীগ কর্মী।
‘হামলাকারী মোস্ত ও তার সহযোগীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ আশ্রিত সন্ত্রাসী। আর হতাহত দুইজনই জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার অনুসারী,’  বলেন জাহিদ হোসেন মিলন।
বোমা হামলায় দুইজনের হতাহতের খবর শুনে হাসপাতালে আসেন কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (অপারেশন) শামসুদ্দোহা। তিনি বলেন, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে খুনিদের ধরতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।

আরো সংবাদ