আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৮:০৪

যশোরে ব্যবসায়ীকে আটকে মুক্তিপণ দাবি- আটক ৭

বিশেষ প্রতিনিধি: পৌরসভার এক কাউন্সিলরের মালিকানাধীন একটি মেসে ব্যবসায়ীকে আটকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ ভিক্টিমকে উদ্ধারসহ চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হচ্ছে যশোর শহরের জেল রোড এলাকার জাহিদুল ইসলাম (৪৭), সদরের ফতেপুর এলাকার নয়ন (৩৯), শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার রাব্বি হোসেন ওরফে সাদ্দাম (২৬), সার্কিট হাউজপাড়া এলাকার গোলাম রসুল (৩৬), পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার শওকত হোসেন ওরফে আপন (৩০), ষষ্টীতলাপাড়ার মানিক মণ্ডল (৩১) এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারখালী এলাকার নূর ইসলাম ওরফে সনি (৩৪)।

সোমবার দুপুরে যশোর ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মোবাইল ফোনের পুরনো মালামাল বিক্রির কথা বলে গত ৪ জানুয়ারি সকালে কহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে নয়ন ও নূর যশোরে ডেকে আনে।

ব্যবসায়ী কহিদুল ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি যশোরে পৌঁছুলে তার পূর্ব পরিচিত নয়ন ও নূর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত যশোর পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আলমগীর হোসেন ওরফে হাজী সুমনের শহরের মাইকপট্টিস্থ মেসে আটকে মারপিট করে। পরে কহিদুলের বড়ভাই রাশিদুল ইসলামের কাছে তারা মুক্তিপণ বাবদ পাাঁচ লাখ টাকা দাবি করে।

তিনি জানান, রাশিদুলের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনিসহ সঙ্গীয় ফোর্স ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মাইকপট্টি এলাকায় অভিযান চালান। ওইসময় তারা কহিদুলকে উদ্ধার এবং মুক্তিপণ দাবিকারী দুজনকে আটক করেন।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হাজী সুমনের মেস থেকে অপর পাঁচ মুক্তিপণ আদায়কারীকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে নগদ সাড়ে ১৮ হাজার টাকা, তিনটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, একটি ব্যাংক চেক, মাদকদ্রব্য ও তা সেবনের সরঞ্জাম এবং বেশকিছু পুরনো মোবাইল ফোনের মাদরবোর্ড / সার্কিট জব্দ করা হয়।

আরো সংবাদ