আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - ভোর ৫:৫৯

যশোরে ব্যবসায়ীর কাছে ৩০ লক্ষটাকা চাঁদা দাবি|| মামলা তদন্তে পিবিআই।

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে এক ডিস ব্যবসায়ীর কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি, ১০ লাখ আদায় ও বাকি টাকার জন্য প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।বুধবার মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলা শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার মৃত গহর আলী বিশ্বাসের ছেলে ইমরান মিয়া ইমু

মামলায় শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার মৃত শেখ আতিয়ার রহমানের ছেলে শেখ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু সহ অজ্ঞাত আরো আরো তিনজনকে আসামি করা হয়। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিম ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। বাদীর ওই এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই সুবাধে আসামিরা দির্ঘদিন ধরে বাদীর কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। বাদী জীবনের ভয়ে নিরবে ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। এরই মধ্যে গত ৫ মে দুপুরে আসামিরা মোটরসাইকেল যোগে বাদীর বাড়িতে আসে এবং তাৎক্ষনিক পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলে। টাকা দিতে না পারায় ৭ মে’র মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা না দিলে বাদিকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। চাঁদার টাকা না পেয়ে ৮ মে বাদীর ম্যানেজার আব্দুল হালিম ইন্টারনেট ও ডিসের বিল তুলে আনার সময় আসামিরা হালিমের কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেই।এ ঘটনার পরে ইমরান মিয়া ইমু আদালতে মামলা করেন।

ইমরান মিয়া ইমু বলেন সন্ত্রাসী শেখ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য কাজী আলমগীর হোসেনের ভাগ্নে ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী কাজী তৌহিদুর রহমান জুয়েলের ফুফাতো ভাই হওয়ার কারনে কেউ তাঁর সামনে মুখ খুলতে পারেনা। গত বছরের শেষের দিকে চাঁদা চাইতে আসলে আমার সাথে মঞ্জুর বাকবিতন্ডা হয়। কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসী কাজী তৌহিদুর রহমান জুয়েল ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে গুলি করে ও চাকু দ্বারা আঘাত করে। আমি কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তিও ছিলাম।

গ্রেপ্তারের পর মঞ্জু ও সাথী ( ফাইল ফটো)

এর আগে সন্ত্রাসী শেখ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু ও সন্ত্রাসী কাজী তৌহিদুর রহমান জুয়েলের স্ত্রী রাজিয়া আফরোজ সাথী একটি ১২ বোরের শর্টগান ও ৬ টি রামদা সহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছিলো। গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাথী তাঁর জবানবন্দীতে বলেছিলো শ্বশুর কাজী আলমের ফোন পেয়ে তিনি রমদা গুলো গিটারের ব্যাগে ভরে পালাচ্ছিলো।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত