আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৫:১৬

যশোরে সরকারী স্কুলের মাঠ দখল নিয়ে ধূম্রজাল! জমির প্রকৃত মালিক কে?

“শাহীন চাকলাদারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা” 

নাঈম সাব্বির: যশোর  শহীদ স্মরণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের জমি বিক্রি করেছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। ক্রেতা রাতারাতি মাঠ দখল নিয়ে দেয়াল তুলে দিয়েছ।এর ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ব্যাহত হচ্ছে।শনিবার যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করে আন্দোলনের ঘোষনা দিয়েছে এলাকাবাসী। তারা জানায় ১৯৭০ সালে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এইচ ব্লকে ১ থেকে ১৮ নম্বর প্লটে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৮৪ সালে এটি সরকারিকরন হয়।১৯৭৮ সালে বিদ্যালয়ের মাঠের সাত কাঠা জমি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ হাসিনা বেগমের কাছে বিক্রয় করে দেয়।এর প্রতিবাদে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আন্দোলন শুরু করে।

শাহীন চাকলাদারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ছাত্রছাত্রীরা!

সেই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউ পি চেয়ারম্যান এই জমিটি বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দ দেবার জন্য চিঠি দেন।কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।এক পর্যায়ে হাত বদলের মাধ্যমে এই জমির মালিক হন এনামুল হক।তিনি ১১ ফেব্রয়ারী স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জমিতে দেয়াল নির্মান শুরু করেন। এনামুল হক বলেন আমার কেনা জমিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রাচীর নির্মান করেছি।সন্ত্রাসীদের কথা তিনি অস্বীকার করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাদ বাবু বলে মাঠের অর্ধেকের বেশি প্রাচীর নির্মানের কারনে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী সভাপতির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা সফল হয়নি।এলাকাবাসী সংবাদ সন্মেলনে আন্দোলনের রুপ ঘোষনাদেন এবং সকাল ১১ টায় হাজার হাজার এলাকাবাসী মানব বন্ধন করেন।২৮ ফেব্রয়ারী জেলা প্রসাশকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবে। ২০১৭ সালের ১৫ আগস্টের একটি শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন চাকলাদার উক্ত মাঠটি স্কুলের থাকবে মাঠটি বেহাত হতে দিবেন না ঘোষনা দেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক কুমার সরকার খানজাহান আলী24.comকে  বলেন, যে জমি বিক্রয়ের কথা বলা হচ্ছে সেটি স্কুলের জমি নই। স্কুলের নামে বরাদ্দ হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা সরকার কর্তৃক আর বরাদ্দ দেয়া হয়নি, এবং স্কুলের নামে যে জমি আছে বরাদ্দকৃত সেটিও স্কুল কর্তৃপক্ষ রেজিষ্ট্রি করে নেননি।বারবার সরকারী অফিসকে দায়ী করার জন্য তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করছেন তিনি। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা (০১৭….৩৪৮)হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরো সংবাদ