আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৬:৪১

যশোরে সিনবাদ হত্যা আটক-১। হত্যাকান্ড শুধুই কি মোবাইল ক্রয় বিক্রয় নিয়ে ?

হোটেল শ্রমিক সিনবাদ (২৩) হত্যার ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতর ছোট ভাই আলামিন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে এজাহার নামীয় আসামী রবিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার আসামীরা হচ্ছে,শহরের পুরাতন কসবা মানিকতলার আব্দুর রহিমের ছেলে বাবু,পুরাতন কসবা লিচুতলার লাল্টুর ছেলে নাজিম,সুজল পুর গ্রামের সেকেন্দার মোল্যার ছেলে রবিন,পুরাতন কসবা মানিকতলার আতিয়ার রহমানের ছেলে আসানুর,পুরাতন কসবা কাঠালতলার ওয়ালিস,পুরাতন কসবা মানিকতলার আশরাফের ছেলে আরজু,পুরাতন কসবা মানিক তলর তুফানের ছেলে নিরব ও একই এলাকার তালেপসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।

পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রবিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে হত্যার পর তার লাশ নিয়ে খড়কী এলাকায় নিয়ে যাওয়ার বাহন নসিমনটি জব্দ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুরাতন কসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শিহাবুর রহমান মামলা দায়ের এবং রবিনের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সিনবাদের ছোট ভাই আলামিন তার দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন,সে বেগম মিলে চাকুরি করে। তার বন্ধু দিপু একটি পুরাতন মোবাইল ৭ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। উক্ত মোবাইল আসামি নাজিমের খালাতো ভাই সিয়ামের কাছে ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে।

সিয়াম মোবাইল ক্রয় করার পর জানতে পারেন মোবাইলটি চোরাই। পরে নাজিম দিপুর কাছে মোবাইল ফেরত নিয়ে টাকা চায়। এ সময় সিনবাদ দিপুর পক্ষ নিলে নাজিমের সাথে সিনবাদের কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে গত ১৯ জুন রাতে সিনবাদকে ডেকে পরিকল্পিতভাবে বাবুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্বাসরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সিনবাদের মরদেহ একটি বস্তায় পুরে ড্রামে ঢুকিয়ে খোলা ডাঙ্গা গাজীর বাজারে সেতুর গ্যারেজের পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়।

পরবর্তীতে ২০ জুন দুপুরে খানজাহান আলী 24/7 নিউজে প্রকাশিত সংবাদ দেখে আলামিন জানতে পারেন উক্ত স্থানে পড়ে থাকা বস্তা বন্দি লাশ পুলিশ স্থানীয় লোকজন মারফতে খবর পেয়ে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

দুপুরে আলামিন ও তাঁর ভাই সেলিম হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ দেখে সনাক্ত করেন লাশটি তার ভাই সিনবাদের।

পরবর্তীতে পুলিশ বাদী পক্ষের এজাহারের উপর ভিত্তিকরে বৃহস্পতিবার রাতে রবিনকে আটক করে।

রবিন হত্যাকান্ডের দ্বায় স্বীকার করে প্রাথমিক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

খানজাহান আলী 24/7 নিউজ / শাকিবুল ইসলাম।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত