করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বুধবার (৯ জুন) মধ্যরাত থেকে যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধ চলবে ১৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ও লোকাল রুটের বাস চলাচল। তবে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটার জন্য খোলা রয়েছে কাঁচাবাজার, মুদিবাজার ও ফার্মেসি।
এর আগে, যশোর পৌরসভা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। ঊর্ধ্বমুখী এ হার রুখতে বুধবার মধ্যরাত থেকে যশোর পৌরসভা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিধিনিষেধের প্রথম দিন প্রশাসন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যশোর পৌর এলাকায় ১৩টি ফিডার রোড এই দিনগুলোর জন্য বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর আওতায় ঢাকা রোড (বারান্দিপাড়া), ডিআইজি রোড, পলিটেকনিক রোড, ঘোপ বাবলা তলা, পুরাতন কসবা চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ড বাইলেন, পুরাতন কসবা লিচু তলা রোড, ধর্মতলা মোড়, চাঁচড়া বাজার, যশোর কলেজ রোড, সন্যাসি দিঘির পাড়, শংকরপুর বটতলা, শংকরপুর বাবলা তলা ও বেজতলা মেইন রোড, বিআরটিএ অফিসের সামনের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক জানান, যশোর শহরে দশটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এসব চেকপোস্টে পুলিশের একজন এসআই, একজন এএসআই, চারজন কনস্টেবল ও দুজন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এসব চেকপোস্ট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাবেরও একটি টিমও মাঠে রয়েছে।’