আজ - রবিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৮:১০

রেন্টুর পরে যশোর জেলা যুবলীগে যোগ্য কান্ডারী বিপুল :: দাবি জনতার

কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃ-মুক্তি-পণ

নাঈম সাব্বির, (স্পেশাল করসপন্ডেন্ট পলিটিক্স): যশোর জেলা যুবলীগ বর্তমানে ইয়াতিমদের সংগঠন। একমাত্র বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ছাড়া তাদের খবর কেউ রাখেনা। যখন নেতৃত্বের পাল্লা আসে তখন অনেক নেতার অবির্ভাব ঘটে কাউন্সিল শেষ হলে তারাও দুধের মাছির মত হারিয়ে যায়। রেন্টু চাকলাদার ছাড়া যশোর জেলা যুবলীগ পলিটিক্যালি ইয়াতিম। কিন্তু জেলা যুবলীগের পরবর্তী কর্ণধার কে হবেন? কোন নেতৃত্ব তাদের অনাগত দৈন্যদশা দূর করবে। এই গুঞ্জন থেকেই মূলত অনুসন্ধান…  যশোর জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে আনোয়ার হোসেন বিপুল কে প্রানপণ চাচ্ছেন কর্মী সমর্থকরা। আনোয়ার হোসেন বিপুল দীর্ঘদিন ধরে জেলা ছাত্রলীগের সফল নেতৃত্বের জন্য তাকে বেহাত করতে রাজি নই কর্মী সমর্থকরা। আনোয়ার হোসেন বিপুল ইতিপূর্বে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, জেলা ছাত্রলীগের এই সদ্য সাবেক সাধারন সম্পাদক কে ভবিষৎ আ’লীগের রাজনীতির কর্ণধার হিসাবে দেখছেন দলটির কর্মী সমর্থকরা। এবং যুবলীগের প্রভাবশালী পদে দেখতে চাচ্ছেন তাকে এমন তথ্য আমাদের কাছে আসে। ঠিক কি কারনে বিপুলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে ভয়ে না ভালবেসে? গুনে না গর্জনে? জানতে অনুসন্ধান চলে জেলা আ’লীগ ও যুবলীগের আঙ্গিনায় “আমাদের অনুসন্ধান কখনো রাজনীতি কে কেন্দ্র করে নয়,তবে ব্যক্তি অনুসন্ধানে নেমে কখনো কখনো রাজনীতির দরজায় আমাদেরও কঁড়া নাড়তে হয়” তৃণমূল পর্যায়ের এ অনুসন্ধানে উঠে আসে তার কীর্তি। দীর্ঘ ব্যাপ্তিকাল ধরে সফল ভাবে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ও দক্ষিণ বঙ্গের ছাত্র সংগঠনকে সুশৃংঙ্খল রাখার জন্য যে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব তিনি দিয়েছেন তা অতুলনীয়। ত্যাগি ও আপোসহীন নেতৃত্বের দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন বিপুল। সমাদৃত এ ছাত্রনেতাকে বর্তামানে যুবলীগ তাদের মধ্যমণি হিসাবে দেখছেন। নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের জন্য তিনি আদর্শ হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত  করছেন বিশ্লেষকরা। ছাত্রলীগের মত যুবলীগেও প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে বিপুলের বিকল্প কেউ হবেনা বলছেন কর্মীসমর্থকরা।

শঙ্কিত মানবতার পাশে

রক্তে তারুণ্য না থাকলে নেতৃত্বে তারুণ্য আসে কোথা থেকে? বুড়ো নেতৃত্ব বৃদ্ধের দিকে ধাবিত হতে হতে সময় শেষ! কাজ করবে কখন? তাই তরুণ নেতৃত্ব ই পারে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে, বর্তমান সরকারের সমস্ত নির্দেশনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তারুণ্যের কোন বিকল্প নেই এমন ভাবনা তৃণমূলের নেতা কর্মীদের।এ সময় কেউ কেউ তো আপ্লুত হয়ে এক কথায় বলছেন বিপুল ভাই আমাদের স্বপ্নের নেতা, বিপুল ভাইয়ের বিকল্প কেউ হবেনা এবং একই সাথে তারা দলের উচ্চপদস্থ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে আনোয়ার হোসেন বিপুলের জন্য দোয়া চেয়েছেন। জেলার গন্ডি পেরিয়েও খুলনা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল সহ আশপাশের জেলা গুলো থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা বিপুলকে সমর্থনের ব্যাপারে ইতিবাচক তথ্য দিয়েছেন।
আনোয়ার হোসেন বিপুল সম্পর্কে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা আরবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুখ বলেন আনোয়ার হোসেন বিপুল একজন দক্ষ সংগঠক শেখ হাসিনার হাত ও যুব সমাজের মাঝে প্রান ফিরিয়ে আনতে বিপুলের মেধা প্রয়োজন। আমাদের ঢাকা অফিসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে যুবসমাজকে এক কাতারে আনতে বিপুল ছাড়া অসম্ভব, দায়িত্বে আসলে আমরা তার সাথে আছি। অন্যথায় নিজ পদ থেকে অব্যাহতি নিতে কুণ্ঠাবোধ করবো না। যাকে তাকে নেতা করে আমরা পস্তাতে চাইনা বিপুল যোগ্য কান্ডারী এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ পোষন করাটাও অশোভনীয়।

যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী তে আনোয়ার হোসেন বিপুলের চমক

যেহেতু তৃণমূল ভিত্তিক অনুসন্ধান চলছে তাই সব নেতাদের বক্তব্য প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। তবে দিন মজুর, কৃষক সবাই নিরাপদ জীবন, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত সমাজ চেয়েছেন বিপুলের কাছ থেকে বিনিময়ে তারা আনোয়ার হোসেন বিপুলের মাধ্যমে উপহার দিবেন “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা”

যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী বলেন, বিপুল ভাইয়ের সাথে দীর্ঘদিন দীর্ঘপথ চলেছি, এখনো চলছি। ভাল যা কিছু আছে তা জনাব শাহীন চাকলাদারের নির্দেশনায় একমাত্র বিপুল ভাইয়ের মাধ্যমেই সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছে। ছাত্রলীগের রাজনিতীতে থাকা কালে শিক্ষা, সাংস্কৃতির যে প্রসার লাভ করেছে জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তা একমাত্র বিপুল ভাইয়ের পরিশ্রমের সুফসল। যেহেতু বাংলাদের প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পরিক্ষিত নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল ভাই।  আ’লীগের দ্বিতীয় সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীযুবলীগে তার প্রয়োজন অপরিহার্য। জেলার প্রতিটি ইউনিট, গ্রাম,পাড়া, মহল্লায় বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশনেত্রী শেখহাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে করনীয়তা একমাত্র তিনিই ভাল বোঝেন। যুবলীগকেও ছাত্রলীগের মত প্রত্যন্ত এলাকায় নেতৃত্ব দেয়ার মত সাহস ও উদারতা দেখাতে পারেন একমাত্র আনোয়ার হোসেন বিপুল ভাই।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক এ ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন ” আমার নেতা যশোর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব শাহীন চাকলাদার যে সিদ্ধান্ত নিবেন তার বাইরে আমি কোন কিছুই করব না। রাজনীতি থেকে সরে যাবেন কিনা বা যুবলীগের কোন পদ প্রার্থী কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠেনা যতদিন বেঁচে থাকবো নেতার (জনাব শাহীন চাকলাদার) সাথে ছিলাম,আছি এবং ভবিষত্েও থাকবো দলীয় পদের ব্যাপারে তিনি সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থনা করছেন। তিনি সকল পাঠকের নিকট জনাব শাহীন চাকলাদারের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে নেতা ও তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

(চলবে……) পাঠক আপনার মন্তব্য পাঠাতে পারেন আমাদের ফেসবুক ইনবক্স ও কমেন্টে

 

আরো সংবাদ