আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:৪৪

যশোর ডিবি হাতে অজ্ঞান পার্টির ৩ সদস্য আটক।

শোরে রিপা খাতুন (২৭) নামে এক মেডিকেল টেকনলোজিস্টকে অজ্ঞান করে সোনার গহনা ও মোবাইল ফোন লুটের ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ১ জুন আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির ওই ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গত ৭ এপ্রিল কুইন্স হসপিটালের ওই মেডিকেল টেকনলোজিস্টকে তার ভাড়া বাড়ির সামনে অজ্ঞান করে সোনার গহনা ও মোবাইল ফোন লুট করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলো, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া পূণর্বাসন কেন্দ্রের কামাল হোসাইনের ছেলে মাসুদ রানা (২৮), খোকনের ছেলে রাকিব (২৪) এবং সিরাজুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন (৩৫)।

ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন জানিয়েছেন, গত ১ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে যশোরের মণিহার আবাসিক হোটেল থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে রিপা খাতুনকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও সোনার গহনা এবং মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকায় মাসুদ রানার ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত একটি সোনার চেইন, দুই জোড়া কানের দুল ও একটি সোনার আংটি উদ্ধার করা হয়। মাসুদ রানার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, আটক আসামিদের স্থায়ী কোনো বাড়ি বা ঠিকানা নেই। তারা সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ভাড়া করে বা হোটেলে থেকে সুযোগ বুঝে মানুষকে চেতনা নাশক দ্রব্য সেবন করিয়ে টাকা, সোনার গহনা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়। এটিই তাদের পেশা। এরা বাইরে এরা অন্য কোন কাজ করে না তারা।

জানা গেছে, রিপা খাতুন গত ৭ এপ্রিল ডিউটি শেষের বিকেল সোয়া চারটার দিকে হসপিটাল থেকে ঘোপ জেল রোডের ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে পৌঁছে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোকজনকে দেখতে পান। তারা তার কাছে এসে কিছু ওষুধ বিক্রির কথা বলে। তিনি প্রথমের রাজি না হলেও পরে তাদের জোড়াজুড়িতে রাজি হন। তখন একজন তার নাকের কাছে একটি স্প্রে করলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই ব্যক্তিরা তার শরীর থেকে ও ‘পারস’ থেকে সোনার অলংকার, একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। তার পারসে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিয়ে যায় তারা।

পরে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কুইন্স হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ির লোকজনকে জানিয়ে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত