আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৪:৪৮

যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান আমীর- দূর্নীতি ছাড়া আর কী করেছেন?

স্টাফ রিপোর্টার।। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের দুর্নীতিতে আলোচিত কর্মকর্তা ড. মোল্যা আমীর হোসেন এবার বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন। গেল ২৮ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে তিনি যোগাদান করেন।

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে তিনি সচিব থেকে সরাসরি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এ নিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

বোর্ডের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ক্যাডারের চাকুরি থেকে অব্যহতি দিয়ে ড. মোল্যা আমির হোসেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিষ্টার হিসেবে যোগদান করেন।

সেখানে তার অনৈতিক কার্যক্রমে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট এক প্রকার পালিয়ে আসেন।

এর মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারের অব্যহতি পত্রটি গৃহিত না হওয়ায় বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিষ্টার পদে চাকুরির সময়টি অবৈতনিক ছুটি হিসেবে আবেদন করেন এবং মন্ত্রণালয়ের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মঞ্জুর করার ব্যবস্থা করেন।

এরপর ড. মোল্যা আমীর হোসেন ২০১৫ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ডে সচিব পদে যোগদান করেন। এ সময় তিনি পণ্য ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

তিনি টেন্ডার সংক্রান্ত ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক চুরি, কলেজের টাকা নয়ছয়সহ একাধিক অভিযোগে দুদক মামলা করেন। একপ্রকার বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ডে ছাড়তে বাধ্য হন। এ সময় বোর্ডের ছাড়পত্র নিতে তিনি গড়িমসি করলে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তারা বিক্ষোভ সমাবেশ পর্যন্ত করে। সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে ৮ অক্টোবর তাকে খুলনার সরকারি জয়বাংলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে বদলী করেন।

সেখান থেকে ১ বছর তিন মাসের মধ্যে যশোর বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ২৮ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাকে এ নিয়োগ দিলে ২৯ জানুয়ারি তিনি বোর্ডে যোগদান করে। ৩০ জানুয়ারি ছিল দুদকের মামলার হাজিরার দিন ছিল।

বোর্ডের অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব তার নিকটাত্মীয় থাকায় তিনি কোন কিছুই তোয়াক্কা করেনি। একের পর এক আর্থিকভাবে বোর্ডকে ক্ষতিগ্রস্থ করছেন। সুনাম নষ্ট করছে। তাই চাকুরি হারানোর ভয়ে বোর্ডের কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি।

এদিকে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করায় বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোল্যা আমীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। যা সঠিক নয়।

দুদকের মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, অফিসে এসে চা খেয়ে যান আর মামলা কোন অবস্থায় দেখে যান।

আরো সংবাদ