যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ভাংচুর ও বিক্ষোভের রাতে পালিয়ে যাওয়া তিন বন্দির সন্ধান মেলেনি এক সপ্তাহেও। তবে কেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনায় ১১ বন্দির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলার বাদী কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন।
এজাহারে তিনি দাবি করেছেন, ভাংচুরের ঘটনায় কেন্দ্রে ৩৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে তিনি ভাংচুরের রাতে পালিয়ে যাওয়া তিন বন্দির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
১০ জুলাই রাতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ বন্দিরা। পরে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ওই রাতে তিন বন্দি পালিয়ে যায়।
ভাংচুর মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেঁজুরবাগ এলাকার কমল মজুমদারের ছেলে রাধা মজুমদার, খুলনার চানমারি বাজার এলাকার আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আহাদ, ফরিদপুরের মধ্য আলীপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন, শেনকাইল গ্রামের সাদেক শেখের ছেলে তানজীদ শেখ, রংপুরের কাউনিয়া পূর্ব চানঘাট এলাকার ইদ্রিস আলী ওরফে মাজেদুলের ছেলে সাগর মিয়া, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের ইকতার আলী বিশ্বাসের ছেলে সাকিব হোসেন, রাজশাহীর বোয়ালিয়ার বালিয়াপুকুর বড় বটতলা এলাকার বাবুলের ছেলে সাব্বির হোসেন, খুলনার সোনাডাঙ্গার জামাল হাওলাদারের ছেলে আবু সাঈদ ওরফে আসিফ ওরফে হাসিব, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর পুইশুর এলাকার বাদশা শিকদারের ছেলে শাহ আলম শিকদার, মেহেরপুরের গাংনীর নওদাপাড়া গ্রামের বায়েছ উদ্দীনের ছেলে সজীব আহম্মেদ এবং কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ছাত্রা গ্রামের মোবার ছেলে উজ্জ্বল।
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ওই রাতে (১০ জুলাই) বন্দিরা কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক বাল্ব, টেলিভিশন, আসবাবপত্র, দরজা, জানালা, কলাপসিবল গেট ভাংচুর করেছে। এতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানায় এজাহার দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তিন বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিয়মানুযায়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি। পরিবারে খোঁজখবর নিয়েছি, তারা বাড়িতে যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকের দেয়া এজাহার বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।