আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১০:২৫

যেভাবে ফেঁসে গেলেন জাহালম

ডেক্স রিপোর্ট: সোনালী ব্যাংকের টাকা না থাকা একাউন্টের চেকে ১৮ ব্যাংকের ৩৩টি শাখা থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছিলো ১৮ কোটি টাকা। আর এই জালিয়াতিতে যুক্ত আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। একাউন্ট খোলার সময় নিজের নাম ব্যবহার করলেও জাহালমের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেন সালেক।

২০১০ সাল ছিল ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি ক্রান্তিকাল। এবছর খাতটি ম্যানুয়াল থেকে অটোমেশনের দিকে এগুতে শুরু করে। তবে সোনালী ব্যাংকের কাজ তখনো চলে সনাতনী পদ্ধতিতে।যার সুযোগ নেয় আবু সালেক চক্র।

ঘটনার শুরু ২০১০ সালেই। সোনালী ব্যাংকের মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট শাখায় ৪টি একাউন্ট খোলে চক্রের সদস্যরা। একটি একাউন্টে আবু সালেক নিজের ছবি দিলেও, ব্যবহার করে জাহালমের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য। ভোটার আইডি প্রকল্পে যুক্ত থাকায় তার জন্যে কাজটি সহজ । একইভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি-বেসরকারি ১৮টি ব্যাংকের ৩৩ শাখায় নানা নামে খোলা হয় একাউন্ট।

সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট থেকে একে একে ৫০টি একাউন্ট পেয়ি চেক ইস্যু করে আবু সালেক। আর তা জমায় হয় অন্য ব্যাংকের করা চক্রের একাউন্টগুলোতে। চক্রের আরেক সদস্য ব্যাংকের বেয়ারার মইনুল হক জালিয়াতি করে এসব চেকের ক্লীয়ারেন্স করায় সোনালী ব্যাংকের নিকাশঘর থেকে।আর ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন আবু সালেক।

এ ঘটনার তদন্ত শুরুর পর চেহারায় মিলের থাকায় জাহালমকেই আবু সালেক বলে সনাক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা। সঙ্গে ছিলো ভোটার আইডি নিয়ে বিভ্রাট। মামলা চলমান অবস্থায় জাহালমের পরিচয় ঘটনা গণমাধ্যমে আসলে ৩ বছর কারাবাসের পর ছাড়া পায় জাহালম। 

আবু সালেককে গেল এক বছরে তার এলাকা ঠাকুরগায়ে কেউ দেখতে পায়নি। পরিবারের লোকেরা বলছে এবছরে বাড়ী আসেনি সে।দুদকের ধারণা করছে জালিয়াতির এ ঘটনা প্রকাশের পর পরই বিদেশে পালিয়ে গেছেন আবু সালেক।

একইভাবে সরকারি-বেসরকারি ১৮টি ব্যাংকের ৩৩ শাখায় নানা নামে খোলা হয় একাউন্ট। বেয়ারার মইনুল হকের যোগসাজসে সোনালী ব্যাংকের নিকাশঘর থেকে ভুয়া ছাড়পত্র নিয়ে এই ৩৩ একাউন্ট থেকে ১৮ কোটি টাকা তুলে নেন আবু সালেক।

এ ঘটনার তদন্ত শুরুর পর চেহারার মিলের কারণে জাহালমকেই আবু সালেক বলে সনাক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা। সঙ্গে ছিলো ভোটার আইডি নিয়ে বিভ্রাট। আর এতেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। মামলা চলমান অবস্থায় চেক জালিয়াতির ঘটনা গণমাধ্যমে, ৩ বছর কারাবাসের পর ছাড়া পায় জাহালম। আবারও নতুন করে তদন্তে নামে দুদক। 

এ পর্যায়ে ঠাকুরগাঁয়ে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ মেলেনি আবু সালেকের। 

আরো সংবাদ