আজ - সোমবার, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ২:১১

রাবি উপাচার্যের শেষ দিনে ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য এম আবদুস সোবহান তার শেষ কর্মদিবসে ‘বিধিবহির্ভূতভাবে’ যে ১৩৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তা স্থগিত করেছেন আদালত। একইসঙ্গে অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর ) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, রাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের দেওয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত করেছেন আদালত। তিন মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রাবিতে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে রিট দায়ের করেন। রিটে বিতর্কিত নিয়োগ স্থগিতের পাশাপাশি ভিসি সোবহানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

জানা যায়, গত ৬ মে শেষ কার্যদিবসের আগের রাতে ভিসি ড. সোবহান ৯ জন শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন পদে ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন। এর আগে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে নিজের মেয়ে-জামাতাসহ ৩৪ জন শিক্ষককে অবৈধ উপায়ে নিয়োগ দেন। এসব নিয়োগকে অবৈধ অ্যাখ্যা দিয়ে ১৭৫ জনের নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

সর্বশেষ ১৪১ জনের নিয়োগকে কেন্দ্র করে ৬ মে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একাধিক বিবদমান গ্রুপসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ১৪১ জনের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ইউজিসির সিনিয়র সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এ ব্যাপারে কমিটিকে সুপারিশ দিতে বলা হয়।

আরো সংবাদ