জি এম অভি :স্থানীয়ভাবে একটি হাডুডু টুর্নামেন্টের নামে যশোর সদর উপজেলার সিরাজ সিংগা ও হাতির হাট এলাকায় বেশুমার চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় মেম্বার ইকবাল হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এই চাদাবাজি করেছেন। স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছেন, রামনগর ইউনিয়নের মেম্বার ইকবাল বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে আসা সিরাজ সিংগার ইকবাল হোসেন ও তার কয়েকজন এলাকায় লোক দেখানো হাডুডু টুর্নামেন্ট আযোজনের নামে চাঁদাবাজি করছে। একই সাথে খেলার কথা বলে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। সিরাজ সিংহা ও হাতিয়ার হাটি গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের চাঁদা ।
বিশেষ করে হিন্দুপাড়া ও ঋষীপাড়ার চাঁদা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অতিথি করার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করা হলেও নিজেদের পকেট ভারি করতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে মটরসাইকেল মহড়ার মাধ্যমে। রামনগর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শাহাজান আলী ও ভোজগাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শিবপদ অভিযোগ করেছেন , ইকবালের চাঁদা্বজিতে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ। তাদের কাছে অনেকেই অভিযোগ করেছেন এব্যাপারে ।
কিন্তু এর আগে স্থানীয়রা এই খেলা ও চাঁদাবাজির ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ করলে প্রশাসন শক্ত অবস্থানে গেলে কয়েকদিন থানায় ঘুরে ইকবাল আবার খেলা চালু করে। সিরাজ সিংহা গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা বাবলুর রহমান অভিযোগ করেছেন , ইকবাল গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা আদায় করছেন। খেলায় হয়তো ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে আর ইকবাল তিন লক্ষ টাকা আদায়ের ধান্দায় মাঠে নেমেছে। হিন্দুপাড়ার তাপস ডাক্তার প্রদিপ কুমার বিধার কুমার শুশান্ত ডাক্তার, শংকর, মিঠুন ও দিপক কুমারসহ অনেকের কাছে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করছে। ভয়ে লোকজন কাউকে কিছু বলতে পারছেনা।
২ জানুয়ারী ইকবাল মেম্বারের নের্তৃত্বে তার সহযোগী খোকন,মতিয়ার,ছোট্টু, রায়হান, সিরাজুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, নাসিরসহ কয়েকজন মোটর সাইকেলে মহড়া দিয়ে চাঁদা দাবী করছে। স্থানীয় আরো কয়েকজন জানিয়েছেন, ইকবাল মুলত চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যেই এই খেলার আযোজন করেছেন।
এব্যাপারে ইকবাল মেম্বার জানান, অনেক বড় টুর্নামেন্ট ১৬ দল খেলবে এখানে টাকা পয়ষাতো লাগবেই । এলাকায় আনন্দ বিনোদনের জন্য খেলা দেয়া হয়েছে , আর অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া হিন্দুপাড়ার লোকজন তাকে খুব ভালবাসেন তার সলিট ভোটার। তাদের কাছে আবদার করে খেলার চাঁদা তোলা হচ্ছে । এখানে চাঁদাবাজির বিষয় সঠিক নয়। একটি কুচক্রি মহল তার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ করতে পারে ।