সংসদ সদস্যদের জন্য লাল পাসপোর্ট নির্ধারণ করা থাকলেও এবার সেই লাল পাসপোর্ট স্বেচ্ছায় ফেরত দিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছেন আলোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সূত্র বলেছে, শামীম ওসমান নিজেই তার নামে ইস্যুকৃত লাল পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এই আবেদন এরই মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে এখন থেকে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এতে আইনি কোনো জটিলতা নেই। কিন্তু কেন তিনি সাধারণ পাসপোর্ট ধারণ করে সাধারণের কাতারে চলে আসছেন, তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। এদিকে লাল পাসপোর্ট বাতিল করিয়ে সাধারণ পাসপোর্টে কেন ফিরে আসছেন শামীম ওসমান, এ নিয়ে তার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শামীম ওসমান বিভিন্ন সভায় বলে থাকেন, সাধারণের কাতারে থাকতে তিনি বেশি পছন্দ করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হয় শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘এটা তার (শামীম ওসমান) ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। তিনি ব্যক্তিস্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন। তবে তিনি তার লাল পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন কি না সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।’ লাল পাসপোর্টের সুবিধা সম্পর্কে জানা গেছে, এই পাসপোর্টকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট বলা হয়। তাই এই পাসপোর্ট যারা বহন করেন তারা জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ভ্রমণের সময় ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি ভোগ করেন। এই পাসপোর্ট সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রী পদমর্যাদার উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, সংসদ সদস্য, সচিব পদমর্যাদার সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, পুলিশের আইজি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর মেয়র, বাংলাদেশের দূতাবাসে কর্মরত যে কোনো পদমর্যাদার কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং জাতীয় অধ্যাপক লাল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন।