যশোরের শার্শায় ইট ভাটার ট্রাকের সাথে শিক্ষার্থী বহনকারী ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে শেফা খাতুন (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী এবং ভ্যান চালক আবু হানিফ (৪৭) নিহত হয়েছে। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ওই ভ্যানে থাকা জ্যোতি ও অহনা নামের আরো দুই শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় যশোর-সাতক্ষীরা হাইওয়ে সড়কের খাজুরা নামক স্থানে। নিহত শেফা খাতুন উপজেলার কাঠুরিয়া গ্রামের সামিউল ইসলামের মেয়ে। আহত শিক্ষার্থী জ্যোতি খাতুন একই গ্রামের আবুল কালাম লিটন এবং অহনা ইকরামুল কবীরের মেয়ে। তারা উভয়ই একে অপরের চাচাতো বোন এবং নাভারন বুরুজ বাগান পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়ার জন্য ভ্যান যোগে স্কুলে যাচ্ছিল তারা। প্রতিমধ্যে যশোর-সাতক্ষীরা হাইওয়ে সড়কের খাজুরা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরিতদিক থেকে আসা একটি ইট ভাটার ট্রাকের সাথে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই শেফা খাতুনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ভ্যান চালক আবু হানিফ। সে ওই গ্রামের নছুর উদ্দিনের ছেলে। নাভারণ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিটু বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পারমিশন ছাড়া আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং লাইনটি কেটে দেন। এদিকে সড়কে ভয়াবহ দূর্ঘটনার খবর শুনে শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা দিতে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল। ঘাতক ট্রাক চালককে গ্রফতার করে আইনের আওতায় আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি।