আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:২৮

শার্শার যুবকের মাগুরায় লাশ উদ্ধার – আত্মহত্যা নাকী হত্যা

মোঃ নয়ন হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোরোর শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম (৩০) পরিবারে অভাব দূর করতে বেশ কয়েক বছর আগে পাড়ি জমান সৌদি আরবে (প্রবাসে)। প্রবাসে দীর্ঘ দিন থাকার পর দেশের বাড়িতে বেড়াতে আসছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু কেন এমন নির্মমতার চিত্র হঠাৎ পরিবারকে নৃশংস করে দিলেন! কেন এই হত্যা ! অনেকে আত্মহত্যা দাবি করলেও কোনো ভাবে আত্মহত্যা মানতে পারছেন না পরিবার স্বজন ও এলাকাবাসী।

 

 

 

 

 

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাগুরা জেলার মাগুরা সদর উপজেলার লস্কারপুর গ্রামে একটি ইটভাটার পাশে স্থানীয় সাত্তার মোল্লার লিচু বাগান থেকে তরিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ । ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে ও তার কাছে থাকা তথ্য সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির পরিচয়। নিহত তরিকুল ইসলাম যশোর জেলার শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের মো. আলমের ছেলে।

 

 

শার্শার যুবক বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাগুরায় আত্মহত্যা 

 

 

নিহতের ভাই একরামুল বলেন, ‘প্রতিবেশী আদম ব্যবসায়ী লতিফের মাধ্যমে চার লাখ টাকা দিয়ে তিন বছর আগে সৌদি যায় তরিকুল। কিন্তু সেখানে কাজ না দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করছিল আদম ব্যাপারী লতিফ। প্রতারণার শিকার হলে শত্রুতা বাড়ে আদমের সঙ্গে। দুদিন আগে তরিকুল জানায়, সে সমস্যার মধ্যে আছে। কাজের কথা বললে লতিফের লোকজন তাকে হুমকি দিচ্ছে। সে বাড়ি ফিরতে রওনা হচ্ছে, তবে পৌঁছতে পারবে কি না জানে না। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলে বুঝতে হবে বিপদে পড়েছে। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। দুদিন পর তার মরদেহ এলো বাড়িতে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমি জড়িতদের বিচার চাই।’

 

গতকাল লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও জনতার ভিড়

 

 

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, তার মরদেহ যেভাবে গাছে ঝোলানো ছিল তা সন্দেহজনক। তদন্ত করলে রহস্য বেরিয়ে আসবে। এটি পরিকল্পিত হত্যা। সে যদি আত্মহত্যা করতো তাহলে মাগুরাতে ফাঁস দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

 

 

 

 

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শক পুলিশের ধারণা, বিদেশফেরত ওই যুবক প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যা এলাকাবাসী ও পরিবারের কাছে ধোঁয়াশা।

 

 

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মুঠোফোনে জানান , সুইসাইড নোট ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র দেখে ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক বিদেশ থেকে আজই ঢাকায় ফিরে বাড়ি আসছিলেন। বিদেশে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে।

 

ওসি আরোও জানান, তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আপাতত অপমৃত্যু বলা হচ্ছে। পরে ঘটনা অন্য হলে মামলা নেয়া হবে।

আরো সংবাদ