পরিত্যাক্ত কুয়ো থেকে সুজিত উইলসনকে উদ্ধার করা গেলেও শেষ রক্ষা হল না। তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ভোরেই পরিত্যাক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় দুই বছরের শিশুটিকে।
সুজিত উইলসন পরিত্যাক্ত কুয়োর প্রায় ৮৮ ফুট গভীরে আটকে ছিল। প্রথমদিকে তাকে ওই খোলামুখ কুয়ো থেকেই উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। সরবরাহ করা হয়েছিল অক্সিজেন। কিন্তু, সময় যত গড়িয়েছে ততই অসম্ভব হয়ে ওঠে ওই প্রক্রিয়ায় উদ্ধারকাজ। পরিত্যাক্ত কুয়োর তিন মিটার দূরে ৯৮ ফুটের আরেকটি গর্ত খোঁড়া হয়। সেই গর্ত দিয়ে ৬৩ ফুট নিচে নামতেই দুর্গন্ধ পান উদ্ধারকারীরা। তখনই সুজিতকে জীবিত উদ্ধারের আশা শেষ হয়ে যায়।
এর আগে তামিলনাড়ুর পরিবহন দফতরের সচিব সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছিলেন, ‘গর্ত থেকে পচা দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা দেহটি উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’ এরপর মঙ্গলবার ভোরে পরিত্যাক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় দুই বছরের শিশু সুজিত উইলসনের দেহ। ময়না তদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। পরে দেহ শিশুটির পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফাতিমাপুদুর কবরস্থানে সুজিতকে সমাধিস্থ করা হবে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত সুজিতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, নানান সংগঠনের সদস্যরা।
শুক্রবার বিকেলে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি জেলার নাডুকাট্টুপাট্টি গ্রামে বাড়ির অদূরেই নিজেদের জমিতে বাবার সঙ্গে খেলছিল দু-বছরের সুজিত উইলসন। সেখানেই ছিল একটি পরিত্যক্ত কুয়ো। সেই কুয়োর মুখে খোলা ছিল। খেলতে খেলতে বেসামাল হয়ে চোখের নিমেষে ওই গভীর কুয়োয় পড়ে যায় সুজিত।