আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৯:২০

সদর উপজেলা নির্বাচন : জনমত জরিপে এগিয়ে শাহারুল ইসলাম।

মুনতাসির মামুন: তিনি মিষ্টি করে কথা বলেন, তিনি মাদক সন্ত্রাস দমনে দৃঢ় অবস্থানের ঘোষণা দেন, তিনি স্বপ্ন দেখান, উন্নয়ন অগ্রগতির কথা বলেন, তিনি ভিশন ২১ – ৪১ এর রূপরেখা বাস্তবায়নের রূপকল্পের গল্পশোণান। তিনি সন্ত্রাসী লালন করেন না। মেহবুব আলম ম্যানসেল, সাইদুর রহমান রিপন ওরফে ডিম রিপন, বুনো আসাদ ,ভাইপো রাকিব সহ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের দেখভাল করে থাকেন। অজ্ঞাত কারনে পুলিশের তালিকায় তারা শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী হিসেবে জায়গাও করে নিয়েছেন।  তিনি সদর উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলমগির হত্যার পর রাজারহাটে রাজনৈতিক সমাবেশ করেছেন, সন্ত্রাসের বিরূদ্ধে অগ্নিমূর্তি ধারন করে বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু নিহত আলমগীরের বাড়ীতে একবারের জন্যও যাননি, জানতে ইচ্ছাও করেনি – কেমন আছে আলমগীরের স্ত্রী সন্তানেরা।  বলছিলাম যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের কথা। 

সামনেই যশোর সদর উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন, এই নির্বাচনে কে হতে পারেন নৌকার মাঝি বা কার জনসমর্থন বেশি এবং জণগণ কাকে চাচ্ছেন নৌকার মাঝি হিসেবে এই সকল বিষয় নিয়ে খানজাহান আলী 24/7  নিউজ এর অনুসন্ধানী টিম মাঠ চষছে গত কয়েকদিন যাবৎ। অনুসন্ধান চলাকালে দারুন সব অভিজ্ঞতার পাশাপাশি অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীনও হতে হয়েছে টিম খানজাহান আলী 24/7  নিউজ কে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল শাহারুল ইসলাম সমর্থকদের প্রচারণা।

রামনগর ইউনিয়নের স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা যে কোন মূল্যে শাহারুল ইসলাম কে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান  হিসাবে দেখতে চাই। মিলন, মিন্টু, কবু, এরা কেন নই? জবাবে তারা বলেন শেষ কবে তাদের চেহারা দেখেছি আমাদের মনে নেই, কিন্তু আপনি দেখবেন এখন শাহারুল ভাইকে  ফোন করবো এখোনি চইলে আসবে।  আর ওদের তো বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাবেন না। যদি শহিদুল ইসলাম মিলন বা মেহেদি হাসান মিন্টু বা হুমায়ন কবির কবু কে সমর্থন করতে বলা হয় ৩ জনের মধ্য থেকে আপনারা কাকে সমর্থন করবেন? জবাবে তারা বলেন প্রয়োজনে ভোট দেবোনা কিন্তু শাহারুল  ছাড়া নৌকা আর কারোর হাতে দেবোনা। এ সময় তারা আরও বলেন কবু আবার কে?  তিনি কী বিদেশে থাকেন?  চিনিনা তো। 

বসুন্দিয়া ইউনিয়নের স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তাঁরা বলেন শাহারুল ভাই অত্যন্ত পরিশ্রমি এবং  ধৈর্য্যশীল একজন মানুষ। শাহিন ভাইয়ের পরে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে একমাত্র যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকেই মানায়। শাহিন ভাইয়ের পরেই তিনি  পা ফাটা, গাল ফাঁটা, মেহনতি  মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। জামায়াত বিএনপির তান্ডবে যখন আমরা ঘর ছাড়া আমার ইউনিয়নের মানুষ বুলেট আতঙ্কে, গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিশেহারা তখন দুঃসাহসীক কান্ডারির মত আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে বুক পেতে দিয়েছেন একমাত্র শাহীন ভাই সে সময় শাহারুল ইসলামের দুঃসাহসিক ভূমিকা অনস্বীকার্য । এই যশোর সদর উপজেলায় শাহিন ভাইয়ের পরে একমাত্র শাহারুল ভাই’ই মনোনয়ন পাওয়ার চূড়ান্ত দাবিদার  । মিলন, মিন্টু, কবু এরা কেউ জননবান্ধব নেতা নই। আমাদের মত তৃণমূল নেতাদের তাঁরা চেনেনও না। আমাদের ইউনিয়নের মানুষ তাদের আজ পর্যন্ত সমর্থন করেননা। উপজেলার সেক্রাটারী হয়েও শাহারুল  ভাই কোন স্কুল কমিটি নিয়ে বা শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে একটা ফোন করেও কোনদিন তদবিরও করেননি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল শাহারুল ইসলাম সমর্থকদের প্রচারণা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন,  আমি করজোড়ে নেত্রীকে বলতে চাই তিনি যেন জনগণের প্রাণের দাবি শাহারুলকে উপজেলার  মনোনয়ন দিয়ে আমাদের আশা পূরন করেন। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মমতাময়ী নেত্রী জনগণেনর আশার মূল্যয়ন করতে জানেন। দূর্দিনে শাহিন চাকলাদারের সাথে শাহারুল ছ্যামড়াডাও  যশোরের রাজপথে মৃত্যু ভয় উপক্ষা করে যশোরে মাটি থেকে জামাত বিএনপি সহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দূর করে যশোরের মাটিকে আওয়ামিলীগের ঘাঁটিতে রূপান্তর করেছে। আজও তিনি যশোরে শাহীন জামায়াত বিএনপির আতঙ্ক। শাহারুল যশোরের সন্তান যশোরের মাটি মানুষের দুঃখ ব্যাথা সিমাবদ্ধতা সে জানেন, সুযোগ পেলে যশোর স্বাধীন বাংলার প্রথম জেলা হিসেবে যে ঐতিহ্য বহণ করার কথা, বিলুপ্ত প্রায় সে ঐতিহ্য আবার উজ্জিবিত হবে এবং সে সাহস একমাত্র শাহারুল রাখে।  ইতিমধ্যে শাহারুল তার ইউনিয়নে গ্রাম মহল্লার রাস্তা ঘাটের যে উন্নয়ন করেছে বাকী ১৪ জন চেয়ারম্যান তার স্বপ্নও দেখেনা। এই খুলনা বিভাগে স্বর্ণপদক পাওয়া চেয়ারম্যান কিন্তু একমাত্র শাহারুল ইসলাম৷ 


দেয়াড়া ইউপি‘র স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার ফোন কখনো বন্ধ পাইনা, গভীর রাত পর্যন্ত প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়ে তার পর ঘুমাতে যান। কোন কর্মী কষ্টে আছে জানতে পারলেই গভীর রাতে আমাদের কাছে ছুটে আসেন এবং সার্বিক সহায়তা করেন। দেয়াড়া ইউপি তে এক চায়ের আড্ডায় সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে টিম খানজাহান আলী 24/7 টিম নিউজ শাহারুল ইসলাম  সম্পর্কে বিচ্ছিন্ন মন্তব্য করা শুরু করলে, স্বয়ং দোকানদার চা পান পর্যন্ত করতে দেয়নি অনুসন্ধানী দলের সদস্যদের। পরে সেখান থেকে (নাটকীয় ভাবে) ভুল স্বীকার ফিরতে হয় আমাদের।

এরকম মন্তব্য করেছেন, চাঁচড়া ইউপি , চুড়ামনকাঠি ইউপি’র জনগণ সহ ১৪ টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তারা শতভাগ সমর্থন করেছেন শাহারুল ইসলামকে  ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল শাহারুল ইসলাম সমর্থকদের প্রচারণা।


শাহারুল ইসলাম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পরে আমার নেতা শাহীন চাকলাদার। আমার রাজনৈতিক গুরু আমার দাদা মোহিত কুমার নাথ নির্বাচন করবেন। আমাদের নেতা কিন্তু একজনই শাহীন চাকলাদার। তিনি যদি বলেন তাহলে আমি নির্বাচন করবো। জনগণ আমার প্রতি যে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ গণমাধ্যমের সামনে করেছেন তার জন্য আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ৷ এই মাটি মানুষের সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক যেমন অবিচ্ছেদ্য -তেমন দায়বদ্ধতাও রয়েছে।  জনগণের জন্য কিছু করতে চেয়ার বা পদ পদবীর দরকার পড়ে আমি এই থিওরি বিশ্বাস করিনা।  মালিক যদি আমাকে কবুল করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে পূর্বেও যেমন ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। নেত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তনুযায়ী নৌকা যে’ই পাক নৌকার পক্ষে অতীতের মত  কাজ  করবো। আমি আমার নেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। 


খানজাহানআলী 24/7 নিউজ এর মাধ্যমে সদর উপজেলার তৃণমূল আওয়ামীলীগের কর্মীরা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  কাছে শাহারুল ইসলামকে  মনোনয়ন দিতে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি তাকে মনোনয়ন দেন আমরা আপনাকে শাহীন ভাইয়ের মতই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মত সুন্দর সদর উপজেলা আবারও উপহার দিবো।

( চলবে ………) 

আরো সংবাদ