আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ২:০৩

সরকারি ঐতিহ্যবাহি জমি উদ্বারে ফের ডিসির হস্তক্ষেপ কামনা।

নয়ন সরদার: যশোরের শার্শায় সরকারি ঐতিহ্য কাছারি-বাড়ির জমি ব্যক্তি মালিকায় রেকর্ড,জমি উদ্ধারে মামলার নির্দেশ থাকলেও এখনো হয়নি মামলা। যশোরের শার্শা উপজেলায় থানার পিছনে সরকারি ঐতিহ্য কাছারি-বাড়ির ৩৫ শতক জমি বর্তমান বাজারের অনুমানিক মূল্য ১৫০০০০০০(দেড় কোটি টাকা) এখনো উদ্ধার হয়নি।যেই জমির ভিতরে রয়েছে মানুষের চলাচলের রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেন রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে মামলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখনো হয় নি মামলা। জিপি দপ্তর থেকে এই প্রতিবেদকে জানায় আইনজীবি কাজী বাহাউদদীনের কাছে মামলার সমস্ত কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনো কার্যকর হয় নি। হাল রেকর্ড(আর,এস) প্রকাশনার পর মামলা মোকাদ্দমা আর অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে এলাকায় প্রচার চালিয়ে এই চক্রটি সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে যারা চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদেরকে মাঝে মাঝে শাসাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। ফলে থানার পিছনে হাজারো মানুষের চলাচলের রাস্তা ও ড্রেন ব্যবহার নিয়ে ভবিষ্যেৎ বিপাকে পড়বে ও দিনে দিনে দখলকারীদের সাথে সংঘাত হবে বলে মনে করছে মহল্লার সচেতন মহল। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ। এমনকি জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার পরও মামলা না হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারি কাছারি-বাড়ীর জমি নিয়ে ১৭.০২.২০ তারিখে দূনীতি দমন কমিশন থেকে ডিসি(যশোর) বরাবর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেন। তদন্ত উঠে আসে, নালিশী জমি ৭২ নং শার্শা মৌজার এস,এ ১নং খতিয়ানের এস,এ ১২৫৫ নং দাগের ৩৫.০০শতক জমি পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ পক্ষে কালেক্টর,যশোর এর নামীয় কাছারি-বাড়ি বাস্ত শ্রেনীর জমি। কাছারি-বাড়ির জমি ধানী শ্রেণী দেখিয়ে ২২/Xll/৮০-৮১ নং এ বন্দোবস্ত নেয়। পরে ২১.১১.৮১ তাং ১৫(পনের) বছর মেয়াদি ৬৪নং কবুলিয়ত সম্পাদন করে দেওয়া হয় (যার স্মারক নং (০৩/০৩/২০ তারিখের ০৫.৫৩৫.০১৮.০০.০০০.০০৩.২০২০.৪১৭ স্মরক তদন্ত পত্রে)পরে কিছু অসৎ ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজে জমিটি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেন।এস,এ ১নং খতিয়ানের ১২৫৫নং দাগের ৩৫ শতক জমির মধ্যে আর এস রেকর্ডে আর,এস ২৩৩৬নং দাগে ৩২.৬৩ শতক জমি আর এস ৫৫৩নং খতিয়ানে রেকর্ড করে ১)মো:জসিম উদ্দিন ২)মো:কবির উদ্দিন ৩)মো:মনির হোসেন ৪)ইমাম হোসেন সকলের পিতা-মৃত:ফজলুর রহমান, শার্শা, যশোর বসবাস করছেন। এদিকে,শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) রাসনা সারমিন মিথি বলেন,জমিটি উদ্ধারে বুরুজবাগান ইউনিয়ন ভূমি সহকারীকে এল,এস,টি মামলার নির্দেশ দিয়েছি। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী( নজরুল ইসলাম) জানান এল,এস,টি মামলার কাগজপত্র ইতিমধ্যে যশোরে পাঠিয়েছি৷ সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়,১৯৮১ সাল থেকে সরকারি কাছারি-বাড়ির জমি, রাস্তা ও ড্রেন তাদের দখলে রেখেছে। এলাকার বসবাস হাজারো লোকের ব্যবহারের রাস্তা ও ড্রেন। হাল রেকর্ড প্রকাশনার পর তারা রাস্তা ও ড্রেনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত হিন্দু/মুসলমান মিলে অনেক লোকজনকে মারধর করেছে, এখনো মাঝে-মাঝে হুমকি দিয়ে থাকে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে সাহস পায় না।তারা এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের ও ভূমি মন্ত্রালয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এই জমির মামলার বিষয়ে চলতি বছরের গত ১০/১১/২০ তারিখে আইনজীবী জিপি কাজী বাহাউদদীন ইকবলের সাথে কথা বললে জানান শার্শা সরকারি ঐতিহ্য কাছারি-বাড়ি জমির মামলার নির্দেশ পেয়েছি, ১৫ই নভেম্বর-২০, আদালতে মামলা রেকর্ড হবে। পরে ১৭ই নভেম্বর-২০ ফোন দিলে তিনি বলেন আপনি ২৪ নভেম্বর ফোন দিয়ে মামলার নাম্বার বলতে পারবো। পরে ২৫ নভেম্বর ফোন দিলে বলে এখনো মামলা হয় নি। তবে কবে মামলা হবে বা মামলা হবে কিনা?? জানতে চাইলে বলে ৬ -৭ নভেম্বরে ফোন দিয়েন। ৬ই নভেম্বর ফোন ধরে নাই ৭ই নভেম্বর জানান ,এখনো মামলা হয় নি ৷ এবং কতদিনে মামলা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি তার অফিস সহকারী হাসানের কাছে ফোন দিয়ে দেন এলাকাবাসী আরও জানিয়েছেন, ইউনিয়নের কিছু অসৎ ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে এটা সম্ভব হয়েছে ৷সরকারি ঐতিহ্য কাছারি-বাড়ী জমি দখলকারীরা তাদের নিজের করা জমি টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করছে।বিভিন্ন মহলে দেরদরবারও চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে।

আরো সংবাদ