আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - ভোর ৫:১৯

সিটি কলেজে সেই মাদকাসক্ত নেতার প্রত্যাবর্তন নাকি উন্মাদনা?

সিটি কলেজে হচ্ছে টা কী?

যশোর প্রতিনিধি : যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দীন রিমন ফের সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। নিজের পদ ও আধিপত্য দুই’ই ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন হটাৎ করেই। ফিরতে চাইছেন স্বপদে তবে অনেকটা ফিল্মি স্ট্যাইলে। “ভূতের মুখে রাম নাম” যপার মত ঘটনা ঘটিয়ে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছেন রিমন।

গেল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিটি কলেজ ছাত্রলীগ সম্পাদক মহিউদ্দিন রিমনের অনুসারী মিজু, দাঁতাল লিটন, জিয়া, উত্তম, সুজন, ইমন, তুহিন ও শুকুরসহ প্রায় ৩০জন ক্যাম্পাসে মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় তারা কলেজের ছাত্রাবাস দখলে নিতে পর পর ৬-৭টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ-বিন-জাহাঙ্গীর হৃদয়, সমাজসেবা সম্পাদক হুমায়ন কবির (২৫), তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক খসরুজ্জামান খান টিটু (২৪), আল আমিন (২৪), আলমগীর হোসেন (২৪)সহ ১০জন কে আহত করে।
পরে কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে কারো বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।

উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে, প্রকাশ্যে মাদক সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে মহিউদ্দীন রিমন কে যশোর জেলা ছাত্রলীগ সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করে দিয়েছিলো। পরে রিমন সেই বহিস্কারাদেশের জবাবে বলেছিলেন, ঐটা একটা শর্ট ফিল্মের ভিডিও ছিলো যা স্পর্শকাতর জায়গা থেকে ক্রপ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

তারপর থেকে রিমনকে কলেজ ছাত্রলীগের কোন আয়োজনে বা সংকটে চোখে পড়েনি। হটাৎ করেই বুধবার হাজির হলেন তাও আবার সেই তিন বছর আগের মতই আরেকটা কুৎসিত ঘটনার মধ্যদিয়ে। মাদক জঙ্গিবাদের বিরূদ্ধে বিক্ষোভ করার নামে নিজেই বোমা ফাঁটিয়ে গুলি করে ১০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কে আহত করে ফের উন্মাদের পরিচয় বহণ করলেন।

এ ব্যাপারে রিমনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ দিকে রিমনের বিরূদ্ধে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সিটি কলেজ ছাত্রলীগের একাংশে।

এদিকে সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ হুসাইন ইকবাল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন “বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগ করতে চায়। আর যেই ছাত্রলীগ মাদক সেবনকারীর বহিষ্কৃত পদ প্রত্যাহার করে নিতে পারে , অন্তত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে সেই ছাত্রলীগ কখনোই করবো না।”

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত