আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১০:৪৭

হরি’র ৫ টাকাও মেরে দিলো রনজিৎ চোরা- ছি!এমপি

মনিরুজ্জামান: নরহরি মন্ডল নুন আনতে যার পান্তা ফুরোই সেই নরহরি ২০০৮ সালে রনজিৎ রায়কে নির্বাচন করতে ৫টাকা দিয়েছিলেন। সাধ্য থাকলে নির্বাচনের পুরো খরচটাই দিতেন রায় সাহেব কে। কত আশায় বুক বেঁধে দিন গুজরান করছিলেন হরি মশায়, কিন্তু এখন কেমন আছেন নর হরি? ভাগ্য কি বদলেছে? স্বভাবত তার ভাগ্যটা বদলানোর কথা ছিল, কিন্তু কোন ভরসা আর কথা রাখেনি শেষপর্যন্ত।

এখনো অনাহারে অর্ধাহারে নিত্য অভাবের সাথে যুদ্ধ করে দিনাতিপাত করছেন নরহরি। রনজিৎ রায়কে আর বিশ্বাস করেন না তিনি ৮২ বছর বয়সেও সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পাননা সে। এমপির দরজায় কঁড়া নাড়তে নাড়তে আজ সে ক্লান্ত, মেঠপথ পাড়ি দিয়ে এমপির কাঙ্খিত সাক্ষাৎ পেতে হলে অনাহারে থাকতে হয় দিনের পরে দিন! পরের জমিতে কামলা দিয়েই জীবিকা করেন ৮২ বছর বয়েসি এই বৃদ্ধ! পাননা বয়স্ক ভাতা, ভিজিডিএফ’র চাউল সেও যেন ঝলসানো রুটি জোটেনা তার কপালে। একমাত্র ছেলে গত হয়েছেন ১৯৯১ সালে। এখন মেয়ের সংসারে ছেলের রেখে যাওয়া দুটি সন্তান নিয়ে দিনাতিপাত করেন নরহরি।

নরহরি জানান,সেই সময়ে শাহ হাদিউজ্জামান ছেলের দাহ তে এসে আমাকে ৫০০ টাকা দিয়ে যান।

নর হরি মন্ডল যখন খানজাহান আলী24/7 নিউজের সাথে কথা বলছিলেন তখনও তিনি পরের জমিতে কামলা দেওয়া কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
আক্ষেপের শেষ নেই তবু শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাকে ভালোবাসতে চান জীবনের শেষদিন পর্যন্ত।
রনজিৎ রায় আবারো নৌকা পেলে কি করবেন ভোট দিবেন?উত্তরে নর হরি বলেন রায়কে নয় শেখ হাসিনাকে ভোট দিমু কিন্তু আর কোন রায়কে ৫ টাকা দেবনা।

এই রনজিৎ রায় এমপি আমার ভোট আর ৫ টাকা চাঁদা নিয়ে আজ হাজার কোটি টাকার মালিক অথচ আমাগের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি হয়েছে রায় এমপির ভাগ্যের উন্নয়ন।

নরহরি বলেন যা টুকটাক সাইয্য করে সে দেলু চিয়ারম্যান সেটাও খুব কম।
রনজিত রায় কে জানাবো আপনাকে সাহয্য করার জন্য?

পাললি পধানমনতিরি কে জানাও, আমার সাইয্য লাগবেনা কিন্তু রনজিত চোরারে যেন নমিনেশন না দেয়, ওটাই আমার সাইয্য।আমার ৫টা টাকাও মাইরে খাইলো চুরা।
দেলু অল্প অল্প যা দেয় আর জোন খাইটে আমার দিন চইলে যায়।

রনজিৎ রায় আমারে কইছে “প্রধানমন্ত্রীর কাছে যা যেয়ে আমার কথা বলিস যে তোকে আমি কিছু দেয়নি”

নরহরি বর্তমানে যশোরের বাঘারপাড়ার খাজুরা জহুরপুর ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় অন্যের জমিতে ঘর বেঁধে থাকেন।

আরো সংবাদ