আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৯:৪৩

হেলমেট খুলতে না পারায় মৃত্যু হলো স্পোর্টসবাইকারের

খানজাহান আলী নিউজ ডেস্ক: হেলমেট, মোটরসাইকেল চালকদের নিরাপত্তার কথা ভাবলেই যার নাম মাথায় চলে আসে সবার আগে। আর এই হেলমেটের কারণেই যদি মৃত্যু হয় তখন তাকে কি বলা যায়।শুনে আতকে উঠলেও এটাই সত্যি যে দুর্ঘটনার পর শত চেষ্টাতেও হেলমেট খুলতে না পারায় মৃত্যু হয়েছে মোটোর সাইকেল চালকের। ঘটনাটি রাজস্থানের জয়পুরের।বুধবার দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করেন হেলমেটটি খুলতে। পরে হাসপাতালে নিয়ে হেলমেট কেটে মাথা বের করলেন চিকিত্সকরা। যদিও ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে চালকের।জানা যায়, জয়পুরের কাছে একটি রাস্তায় ঝড়ের গতিতে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন স্পোর্টসবাইকার রোহিত সিং শেখাওয়াত। তখনই তার সামনে এসে পড়েন এক ব্যক্তি। ভারসাম্য হারিয়ে প্রথমে ওই ব্যক্তিকে ও পরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন রোহিত। প্রায় ৫০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন তিনি।রোহিতের মাথায় ছিল ৫০ হাজার টাকা দামের বিদেশি হেলমেট। দুর্ঘটনার পর সেই হেলমেট খুলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। কিন্তু শত চেষ্টাতেও হেলমেট খোলেনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফিতে কেটে হেলমেট খোলেন চিকিত্সকরা। ততক্ষণে যদিও রোহিতের মৃত্যু হয়েছে।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে রোহিতের। বাইকের ধাক্কায় আহত অন্য ব্যক্তির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দামি ওই হেলমেটের অভ্যন্তরীন অংশ বিশেষ এক ধরণের পদার্থ দিয়ে তৈরি। এর জেরে দ্রুতগতিতে বাইক ছোটালেও হেলমেট মাথার ওপর ন়ডাচড়া করে না। এই হেলমেট খোলারও নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। তা কেউ না জানাতেই ঘটেছে এই বিপত্তি।দুর্ঘটনার সময় একটি কাওয়াসাকি জেড এক্স – ১০ আর চালাচ্ছিলেন রোহিত। ২২ লক্ষ টাকা দামের এই স্পোর্টসবাইকের সর্বোচ্চ গতি ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

আরো সংবাদ