শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ২৫ বছরের এক প্রবাসীর সঙ্গে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১২) বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ের এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ৪০০ অতিথিকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে।
সোমবার (০৯ মে) দুপুরে উপজেলার চরকুমারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও বাল্যবিয়ে বন্ধের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
স্থানীয় সূত্র ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সখিপুর থানার বাহেরচর গ্রামের এক ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের ইয়াকুব বেপারির ছেলে ওমানপ্রবাসী রাকিবুল ইসলাম রাকিবের (২৫) বিয়ে হয়েছে। ওই কিশোরী বাহেরচর মোহাম্মাদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিয়েতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৪০০ অতিথিকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।
বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে,
অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত মেয়ের স্বজনরা। স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুল্লাহ কবিরাজ সাংবাদিকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে অনুরোধ করেন।
ইউপি সদস্য আসাদুল্লাহ কবিরাজ বলেন, দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি সত্য। তারা কোর্ট ম্যারেজ করেছেন। আজ বউভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ৪০০ অতিথিকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।
মেয়ের দাদা বলেন, আমার নাতিনের বয়স ১২ বছর। নারায়ণগঞ্জ কোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। আজ বউভাতের আয়োজন করা হয়েছে।
মেয়ের মা বলেন, ছেলের সঙ্গে মেয়ের অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক। আমরা কি করবো। বাধ্য হয়ে বিয়ে দিয়েছি। বাল্যবিয়ে হলেও দুই পরিবার মেনে নিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাফিস বলেন, বাল্যবিয়ের কথা শুনে উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ওই বাড়িতে পাঠিয়েছি। তিনি গিয়ে কাউকে পাননি। এজন্য কারও বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।