টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে অবশ্যই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দিতে। সে কার্যক্রম চলছে। আমরা যেন ১২ বছরের বেশি বয়সীদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১২ বছরের অধিক বয়সীদের সব ধরনের টিকা দেওয়া যায় না। যে টিকাগুলো দেয়া যায়, সেগুলো কিছু নিয়ে আসা হয়েছে, আরও নিয়ে আসা হবে। সেগুলো প্রয়োগের জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়। সে প্রস্তুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিচ্ছে। আমরা সহসাই সে কার্যক্রম শুরু করবো। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ১২ বছরের অধিক বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা পর্যায়ক্রমে অবশ্যই দেবো।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকা পাননি, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেয়া যখন শুরু হয়েছে, এর মধ্যে যাদের এনআইডি আছে তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। তারা কি পাবলিক, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি সাত কলেজের শিক্ষার্থী, সেটি দেখা হয়নি। কাজেই যেকোনো শিক্ষার্থীর বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয় এবং তার এনআইডি থাকে, এখনই সে টিকা পেতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। এখনই সে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারে। যার এনআইডি নেই, তার জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম এবং আইডিসিআরের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা অংশ নেন।