আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:০৭

১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নতুন পাসপোর্ট ইস্যুর কাজ, কমবে ভোগান্তি

সব ধরনের নতুন পাসপোর্ট ইস্যুর কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে। এতে সাধারণ মানুষের ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টসহ নতুন পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন থেকেই নির্ধারিত সময়ে নতুন পাসপোর্ট পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা। এরইমধ্যে নতুন পাসপোর্টের জন্য দুই লাখেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে আছে ঢাকাসহ পাসপোর্ট অধিদফতরের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসে।

এরইমধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত ২৩ মার্চ থেকে নতুন পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণের সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে অফিস কার্যক্রম চালুর পর শুধু রি-ইস্যু পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৩ মার্চ সব ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীরা বিপাকে পড়েন। তবে সম্প্রতি পাসপোর্টের কার্যক্রম আবারও পুরোদমে চালু করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাসপোর্ট অধিদফতরের কার্যক্রম পুরোদমে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। করোনার কারণে পাসপোর্ট সেবা বন্ধ হওয়ার আগে ২২ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম। তখন ঢাকাসহ ৯টি পাসপোর্ট অফিসের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট সেবা দেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে আরও ২৫টি পাসপোর্ট অফিসের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।

এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন ও রি-ইস্যু পাসপোর্টের নিবন্ধন কার্যক্রম সীমিত পরিসরে (মোট সক্ষমতার ৪০ ভাগ সেবা) চালু করা হবে বলে জানান পাসপোর্ট অধিদফতরের কর্মকর্তারা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে এই সেবার মান বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। আবেদনকারীদের মধ্যে ইতোমধ্যে যাদের ছবি ও হাতের ছাপ নেওয়ার জন্য অ্যাপয়েনমেন্ট দেওয়া হয়েছে তারা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনলাইনে অ্যাপয়েনমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ও পুরাতন আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আবেদনকারীদের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে বুকিং দেওয়া শুরু করা হবে। নতুন ও পুরাতন আবেদনকারীর জন্য ৫০ ভাগ কোটা নির্ধারিত থাকবে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবশিষ্ট ২৫টি রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে (আরপিও) ধাপে ধাপে (প্রতি সপ্তাহে পাঁচটি করে) ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম দফায় গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, নোয়াখালী ও ফেনীতে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু হবে। দ্বিতীয় দফায় মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে চালু করা হবে। তৃতীয় দফায় যশোর, খুলনা, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু করা হবে। চতুর্থ দফায় চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও রংপুর।

 

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত