আজ - মঙ্গলবার, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ১:২২

৩ বছরের জন্য জেলে যাচ্ছেন সোম্য।

স্টাফ রিপোর্টার।। মাত্রই গাঁটছড়া বেঁধেছেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। হরিণের চামড়ার ওপর আশীর্বাদ অনুষ্ঠান করায় এ সাজার মুখোমুখি হতে পারেন সৌম্য।

আইনানুযায়ী, বন্যপ্রাণীর চামড়া নিজের কাছে রাখা অপরাধ। আর এতে দোষী প্রমাণিত হলে তিন বছরের জন্য কারাগারে যেতে পারেন সৌম্য ও তার বাবা। এমনটি হলে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিস করতে পারেন তিনি। ক্রীড়াবিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকট্র্যাকারের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।


বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার সৌম্য। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি কার্যকরী পেস বোলিংয়ে দলে বড় অবদান রাখেন তিনি। প্রেমিকা প্রিয়ন্তী দেবনাথ পূজার সঙ্গে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সাতপাঁকে বাঁধা পড়েছেন তিনি। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে অবশ্য জল ঘোলা কম হয়নি। সেখানে স্মার্টফোন চুরির দায়ে দুইজনকে গ্রেফতারও করেছিলো পুলিশ। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে আসে আশীর্বাদের দিন ব্যবহার করা হরিণের চামড়া।

বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৬ ধারায় উল্লেখ রয়েছে– লাইসেন্স ছাড়া কোনো জীব কিংবা বণ্যপ্রানীর চামড়া অধিকারে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে তিন বছর বা তদূর্ধ্ব সময় জেল হতে পারে ওই ব্যক্তির।
এ আইনের আওতায় এলে ফেঁসে যেতে পারেন সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকারও। তাকেও ছেলের মতোই কারাভোগ করতে হতে পারে। যদিও তিনি বলেছেন, নিজেদের কাছে হরিণের চামড়া রাখা পারিবারিক ঐতিহ্য। বহুকাল আগে থেকে তার পূর্বপুরুষরা এটি ব্যবহার করে আসছিলেন। সেই সূত্রেই সেটি পেয়েছেন এবং রীতিপ্রথা মেনে পুত্রের আশীর্বাদ সেরেছেন।
সৌম্য ও তার বাবার জেলনির্ভর করছে মামলা-মোকদ্দমার ওপর। কেউ আদালতে মামলা করছে আর সেটি প্রমাণ হলে বিষয়টি বিবেচনাধীন হয়ে পড়বে!

আরো সংবাদ