আজ - রবিবার, ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৫:০০

৮ জনকে আসামী করে ভাইপো রাকিব হত্যা চেস্টা মামলা দায়ের।

যশোরের অন্যতম সন্ত্রাসী রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিবকে (২৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের মা ফয়জুন্নাহার (৫২) আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। কেউ আটক হয়নি।

আসামিরা হলো, চাঁচড়া ইসমাইল কোলনীর কাজী খালিদ হোসেনের ছেলে ইমন (২৫), শংকরপুর পশু হাসপাতালের পেছনের বর্তমানে পুলেরহাট এলাকার মৃত পিয়ারু কাজীর ছেলে কাজী তারেক (৪০), চাঁচড়া জামতলা এলাকার তারেকের ছেলে তানভীর (২৪), মৃত জলিল মুন্সির ছেলে রিয়াজ (৪৫), চাঁচড়া রায়পাড়ার তৈয়ব আলীর ছেলে সাব্বির (২৫), শংকরপুর সার গোডাউনের পেছনের মৃত আফজাল কাজীর ছেলে আকাশ (২৭), ইসকেনের ছেলে ইয়াসিন (৩৫) এবং বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ের কানা বাবুর ছেলে সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন (৩০)।

ফয়জুন্নাহার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে রাকিব চাঁচড়া বাবলাতলার মোড়ে মাছের পোনার ব্যবসা করে। আসামিরা মাদকদ্রব্য ওই এলাকায় সরবারহ করে থাকে। তার ছেলে আসামিদের নিষেধ করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাকে খুন জখমের পরিকল্পনা করে। গত ১৯ জানুয়ারি তার ছেলে বাড়িতে ছিলো। রাত পৌনে ১০টার দিকে আসামি তানভীর তার বাড়ির মধ্যে ঢোকে এবং কথা আছে বলে ডাক দিয়ে বাইরে নিয়ে যায়। রাকিব তার কথামতো বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর যায়। তিনিও রাকিবের পিছু নেন। সে সময় আসামি কাজী তারেকের নির্দেশে ইমন পরপর দুইটি গুলি করে। গুলি দুটি বুকের দুই পাশে লাগে। এরপর আরো দুটি গুলি করলে একটি বাম হাতের বাহুতে অপরটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গুলি করার সাথে সাথে আসামিরা ৪/৫টি মোটরসাইকেলে করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তিনিসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তার ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।

আরো সংবাদ