কাজী তৌহিদুর রহমান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ; যিনি সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি, মাদক ব্যবসায় অভিযুক্ত। ডেরা থেকে অস্ত্র, গুলি, বোমা, মাদক উদ্ধারের পর থেকে ছাত্রলীগ যশোর জেলা কমিটির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদককে খুঁজছিল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতরাতে কাজী জুয়েলকে বারান্দীপাড়ার বিসিএমসি কলেজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে থানায় নয়টি মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার জুয়েলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন শেখহাটি লিচুতলা এলাকার আলমগীর হোসেনের এই ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ শহরতলীর শেখহাটি এলাকার ‘কাজী ছাত্রাবাস’ নামে একটি ভবনে অভিযান চালায়। ওই ছাত্রাবাসটি কাজী জুয়েলের ডেরা হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই সময় ছাত্রাবাসটি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি বোমা, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র, মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ তিন কলেজছাত্রকে আটক করা হয়েছিল।
আটককৃতরা হলেন যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক ইসলাম, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু হেনা রোকন ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউন।
ওই ঘটনায় মামলা হয়। মামলায় জুয়েল ও তার বাবা আলমগীর হোসেনকেও আসামি করা হয়। কয়েকদিন আগে আদালতে আলমগীর আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু জুয়েল পলাতক ছিলেন।
এরও আগে ২০১৭ সালের ১৭ মে বুধবার ভোর চারটার দিকে র্যাবের একটি টিম শেখহাটি এলাকার একটি ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে জুয়েলসহ একই এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে শাকিব হাসান রাসেল ও করিম গাজির ছেলে সুমন হোসেনকে আটক করে। সেই সময় আটককৃতদের কাছ থেকে একটি রাইফেল, দুটি ওয়ান শুটারগান, দুটি এয়ারগান, ৫৪০ রাউন্ড গুলি ও ১০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের ডিএডি কামরুজ্জামান অস্ত্র ও মাদক আইনে কোতয়ালী থানায় দুটি মামলা করেছিলেন। অস্ত্র মামলায় কাজী জুয়েল ও শাকিব হাসান রাসেলকে এবং মাদক ও অস্ত্র উভয় মামলায় সুমনকে আসামি করা হয়েছিল। এসব চাঞ্চল্যকর মামলা মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন পলাতক থেকে তৎপরতা চালাচ্ছিলেন কাজী জুয়েল।