আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ২:১৪

যশোর পলিটেকনিকে ছাত্র নির্যাতন,হুমকি! – অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি।


মুনতাসির মামুন,জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক : যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে।রবিবার সিভিল বিভাগের ৪র্থ পর্বের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং এর ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

ক্লাস চলাকালে শিক্ষক ইঞ্জিঃ মোস্তাফিজুর রহমান শামিম ফরহাদ নামে এক ছাত্রকে চড় থাপ্পড় মারেন এবং গালিগালাজ করেন। সহপাঠীদের সামনে শিক্ষকের এমন আচরনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন শামিম।অপমান সহ্য করতে না পেরে ক্লাসের বাইরে এসে অভিমানে জানালার গ্লাসে ঘুষি মারলে হাত কেঁটে রক্তাক্ত হয়ে যায় শামিম।পরে সহপাঠীরা শামিম কে উদ্ধার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।সেখানে ২ব্যাগ রক্ত শামিমের শরীরে প্রবেশ করানো হয়।

খবর পেয়ে যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অভিযুক্ত শিক্ষক ইঞ্জিঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য শিক্ষকরা হাসপাতালে শামিমকে দেখতে যান। এ সময়  শিক্ষক ইঞ্জিঃ মোস্তাফিজুর রহমান ছাত্রদের মানববন্ধনের পূর্বাভাস আঁচ করতে পেরে শামিম কে ছাড়পত্র দিয়ে দিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন।এবং মানববন্ধন বা শিক্ষকের বিরূদ্ধে কোন কর্মসূচি গ্রহন করতে নিষেধ করে আসেন।বলেন তোমরা যদি এসব করো আমিও আমার পক্ষথেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এঘটনার পর শামিম মানষিক ভাবে আরোও ভেঙ্গে পড়লে তাঁর সহপাঠীরা তাঁকে অভয় প্রদান করে সোমবার দুপুরে অধ্যক্ষের নিকট সিভিল বিভাগের ৪র্থ পর্বের সকল ছাত্রছাত্রীদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।স্মারকলিপিতে বলা হয় শিক্ষক ইঞ্জিঃ মোস্তাফিজুর শ্রেণীকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের উপর নীতিবহির্ভূত ভাবে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতন ও মানষিকচাপ সৃষ্টি করে থাকেন যার কু প্রভাব ছাত্রছাত্রীদের উপর পড়ছে।অভিযোগের প্রেক্ষিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে স্মারকলিপিতে। এদিকে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে সিভিল বিভাগের চিপ ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জিঃ রুহুল আমিন অধ্যক্ষের সামনেই ছাত্রছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরন করেন।রুহুল আমিন বলেন আমি বিভাগীয় প্রধান থাকা সত্ত্বেও কেন অধ্যক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হলো?

যোগাযোগ করা হলে সিভিল ৪র্থ পর্বের এক ছাত্র (সংগত কারনে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা ) বলেন, মোস্তাফিজ স্যার প্রায়’ই এরকম অশালীন আচরন করেন। আমরা তাঁর বহিষ্কার চাই।তাঁর আচার আচরন আমাদের স্বভাববিরূদ্ধ।তিনি প্রায়ই আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন ও মানষিকচাপ সৃষ্টি করেন যা মেধাবিকাশের পরিপন্থি। এই বিষয়গুলি জানাতে আমরা অধ্যক্ষের নিকট যায়।কিন্তু আমাদের চিপ ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জিঃ রুহুল আমিন স্যার সেটা নিয়েও আমাদেরকে অধ্যক্ষের সামনেই লাঞ্ছনাজনক কথাবার্তা বলেন।পরে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আজিজুর রহমান আমাদের কথা শোনেন এবং মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে আমাদের আশস্ত করেছেন।

যোগযোগ করা হলে সিভিল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, ক্লাসে পরিক্ষা চলছিলো  পরিক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় শিক্ষক ইঞ্জিঃ মোস্তাফিজুর শামীমকে ভৎষনা করে।পরে শামীম বাইরে এসে জানালার গ্লাসে ঘুষি মেরে বেপরোয়া হওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর হাত কেটে যায়।অধ্যক্ষের কক্ষে তাঁর নিজের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আগে আমাকে জানাতো আমি ব্যর্থ হলে অধ্যক্ষের নিকট যেতো আমি এটাই বলেছি।অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরূদ্ধে অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

আরো সংবাদ