আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ১০:০৯

শোকের মাসে চেয়ারম্যান আনিছের বিশাল কর্মযজ্ঞ।

দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন জাতির জনকের রক্ত শুধু শোকের নয়, শপথেরও  বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম সেই পুরুষ তিনি, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে (১৯২০-১৯৭৫) স্বদেশের মাটি আর মানুষকে এমন গভীর ভালবাসার বন্ধনে বেঁধেছিলেন, যে বন্ধন কোনদিন ছিন্ন হবার নয়। আজীবন ঔপনিবেশিক শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে, দরিদ্র, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে এমন এক অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন, যার তুলনা বিরল। একজন প্রকৃত নেতার যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তার সব নিয়েই জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ। যাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুবর্ণিল, যাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু। যিনি রচনা করেছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয় ইতিহাস।

এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে ঘাতকের হাতে। ৪১ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই কালিমাময় দিনে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকে। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতকের পৈশাচিকতার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজন। রচিত হয় ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু তাতে তো এমন একজন রাষ্ট্রনায়ককে একটি জাতির হৃদয় থেকে চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন প্রতিটি উৎসবে, আনন্দ-বেদনায়। তিনি যে মৃত্যুঞ্জয়ী।

বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম দিনে সেদিন বৃষ্টি নয়, ঝরেছিল রক্ত। বাংলার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের মতো বিশাল তাঁর বুক থেকে রক্তগোলাপের মতো লাল রক্ত ঝরেছিল ঘাতকের বুলেটে। সেদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসগৃহে, বত্রিশ নম্বরের সেই বাড়িতে, আমাদের ইতিহাস তীর্থে, হত্যা করা হয়েছিল কেবল তাঁর নশ্বর শরীরকে, কিন্তু তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষীকিতে আগস্ট জুড়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান।ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোকের মাসে গোটা ইউনিয়নব্যাপি শোকসভা ,দোয়া মাহফিল ও মানবভোজ অব্যাহত রয়েছে।

পাশাপাশি থেমে নেই দ্বারে দ্বারে ঘোরা।কে কেমন আছেন খোঁজ খবর নিতে প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে বাড়ীতে বাড়ীতে হাঁটছেন তিঁনি।সম্পাদন করছেন স্কুলভবন সহ নানা প্রতিস্রুত কর্মযজ্ঞের।

১৫ ই আগস্ট হালসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা, মানবভোজ বিতরণ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুরু করে এ দিন ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগের উদ্যোগে  আলোচনা সভা , দোয়া মাহফিল ও  মানবভোজ বিতরণ করেন আনিছুর রহমান।

এভাবে  ধারাবাহিক ভাবে ১ নং ওয়ার্ড ,  ৩ নং ওয়ার্ড ,৫ নং ওয়ার্ড, ৬ নং ওয়ার্ড , ৯ নং ওয়ার্ড  সহ নতুনহাট বাজার ও তেঘরিয়া স্কুলমাঠে আয়োজিত গণভোজে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য এ মাসেই দৃশ্যমান হলো চেয়ারম্যান আনিছের প্রতিস্রুত তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইব্রাহীমকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেয়াড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভূমিহীন পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নিতে।এরপর বিকেলে যোগদেন  হালসা সরকারী প্রাইমারী স্কুল মাঠে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায়। ধারাবাহিক এ কর্মযজ্ঞে দেয়াড়া ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগের  সভাপতি মুনছুর আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন , জেলা কৃষক লীগের  সাংগাঠনিক সম্পাদক তোরাব আলী, ইউনিয়ন যুবলী সভাপতি জিয়ারুল হক জুয়েল, সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি সেলিম রেজা মিন্টু,  সাধারন সম্পাদক নাজমুল হুদা মিঠু , ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দীন সহ প্রত্যেক ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।             

শোকের মাস আগস্ট ব্যাপী এ সকল কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান।

আরো সংবাদ