আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১২:৫৫

অপরূপ সুন্দর খুলনার তালাবওয়ালা জামে মসজিদ।

অপরূপ সুন্দর খুলনার তালাবওয়ালা জামে মসজিদ।বিশেষ করে, রাতের বেলার কৃত্রিম আলোয় চারপাশের পরিবেশ দেখে মনে হয় জান্নাতের একটি সুসজ্জিত বাগান। মিনার থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত কারুকার্য যেন একটি থেকে আরেকটি উচ্চতর। কৃত্রিম কারুকার্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একাত্মতা ঘটায় অপরূপ এক লাবণ্যের প্রকাশ ঘটেছে এই মসজিদে।

খুলনার তালাবওয়ালা  জামে মসজিদ

১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদে সহজেই দেখা মিলবে অর্কিড, বনসাই সাইকাস পাইনাসসহ নানা ধরনের শোভা বর্ধনকারী উদ্ভিদের। এছাড়া চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন জাতের সুপারি ও নারিকেলগাছ। এই মসজিদের প্রধান আকর্ষণ হলো মসজিদের সামনে অবস্থিত শাহি গেট।

তালাবওয়ালা জামে মসজিদের সুউচ্চ মিনার ও রাতের আলোকসজ্জা

এছাড়া মসজিদটিতে রয়েছে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় মিনার। উচ্চতায় যার পরিমাণ ২২৬ ফুট। মিনারটি সম্পূর্ণটাই সাদা টাইলসে তৈরি। যার ফলে অনেক দূর থেকে সহজেই মসজিদটির অবয়ব চোখে পড়ে। একটি মিনার ছাড়াও মসজিদটিতে রয়েছে চারটি গম্বুজ। যেখান থেকে প্রতিদিন পাঁচবার আজানের ধনি ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এখানে রয়েছে আধুনিক শৌচাগার, অজুখানা, গোসলখানা। মিম্বরে থাকা ইমাম সাহেবের জায়নামাজের নিচেই আছে সুবৃহৎ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়া।

দিনের আলোয় তালাবওয়ালা জামে মসজিদের সৌন্দর্য

মসজিদটির চরপাশে দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে হরিণের চামড়ার ওয়ালমেট। যেখানে খোদাই করে লেখা আছে বিভিন্ন ধরনের কোরআন ও হাদিসের বাণী। মসজিদটিতে রমজান মাসে দুই ধরনের তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। একটি হলো সাধারণ নিয়ম, ২৭ রমজান যেখানে কোরআন খতম করা হয়। আরেকটি হলো মাত্র ছয় দিনে কোরআন খতম করা হয়। এখানে একসঙ্গে প্রায় ২ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এছাড়া বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে মসজিদের পাশের এক জায়গায়। সেখানে দেখা মিলবে উট, হাতি, ঘোড়া, গরু, বিভিন্ন ধরনের পাখি। যার কারণে মসজিদটির কদর রয়েছে খুলনা বিভাগ জুড়ে।

আরো সংবাদ