খান জাহান আলী ডেস্ক: আওয়ামী যুবলীগ যুবলীগ ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ভাঙার আলোচনা শোনা গেলেও তা স্তিমিত হয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সূত্রগুলো বলছে, এখনই কমিটি ভাঙা হচ্ছে না, বরং শিগগিরই সংগঠনটির সম্মেলন দিয়ে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ১৪ জুলাই। সে হিসেবে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এরপরেও কেটে গেছে প্রায় সাড়ে তিন বছর। যুবলীগ নিয়ে কথা বলতে চাইলে আওয়ামী লীগ বা যুবলীগের কোনও নেতা নাম প্রকাশ করে কথা বলতে চাননি। তবে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে মূল দলের জেলা, মহানগর, উপজেলার সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই ধারাবাহিকতায় সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনও দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফিরলে আনুষ্ঠানিকভাবে সে নির্দেশনা দেওয়া হবে। এদিকে সংগঠন বিষয়ে যুবলীগ নেতারা যেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কেউই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন না। তবে, সংগঠনটির অভ্যন্তরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আরমান হোসেন, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া কি করে ফ্রিডম পার্টি থেকে যুবলীগে এলো, গ্রেফতার হওয়া অপর যুবলীগ নেতা জি কে শামীম কোন পথে যুবদল থেকে যুবলীগে পদ পেলো এসব নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা। এছাড়া যুবলীগের গত কমিটির অফিস স্টাফ ও কম্পিউটার অপারেটর কাজী আনিসুর রহমান কিভাবে দপ্তর সম্পাদক পদ পেলেন এবং কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন এসব নিয়েও চলছে সরস আলোচনা। আর এসব বিষয়ে সবাই সংগঠনটির শীর্ষনেতৃত্বের দিকে আঙুল তুললেও প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক যুবলীগের একজন শীর্ষনেতা বলেন, যুবলীগে কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কে করছে, সবাই সবকিছু জানেন। তবে কারোর এ নিয়ে কিছু বলার সাহস নেই। নেত্রী দেশে ফিরলে দলের কাউন্সিল ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি।