যশোরের অভয়নগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কে এম আজমল ইসলাম ওরফে বুলবুল খা (৪৮) নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১০ জুন) মামলা দায়েরের পর মতিয়ার রহমান ওরফে মতি (৩৯) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ জুন) রাতে উপজেলার তালতলা রেলস্টেশন চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় এক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আহত বুলবুল খা উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের গ্রামতলা এলাকার নুরুল ইসলাম খা’র ছেলে। আটক মতিয়ার রহমান একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বুলবুল খা বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তালতলা রেলস্টেশন চত্বরে পৌঁছালে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসহকারে আমার উপর হামলা চালিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে লাইসেন্স করা শর্টগান থেকে এক রাউণ্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত বুলবুলের বড়ভাই মামলার বাদি বাবলু খা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছোটভাই বুলবুলকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি দিদার, মতিয়ার রহমান মতি, মির্জা জামিল আহম্মেদ তমাল, লিটনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বুলবুল খা মাঝে মধ্যে তার শর্টগান দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখান। কারণে অকারণে অস্ত্র নিয়ে মহড়া করেন তিনি। এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য তার উপর এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখান থেকে শর্টগানের এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মরক্ষার জন্য আহত ব্যবসায়ী বুলবুল খা তার শর্টগান থেকে এক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য মিলেছে। মামলা দায়েরের পর এজাহারভূক্ত মতিয়ার রহমান মতি নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।