আজ - রবিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৮:৪১

অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন ডিআইজি

ডেস্ক রিপোর্ট: অস্ত্রের মুখে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। ভাড়া ফ্ল্যাটে ৪ মাস সংসার করার পর পুলিশ কর্মকর্তার সাজানো মামলায় জেলও খাটতে হয় ঐ তরুণীকে। এমনকি জোর করে বিয়ে আর নির্যাতনের খবর প্রকাশ করায় হত্যার হুমকিও দেন ডিআইজি মিজান।

ব্যাংকে চাকরির জন্য বান্ধবীর পরিচিত জনৈক মহিলার মাধ্যমে মোবাইল ফোনে মিজানের সাথে প্রথম পরিচয় হয় মরিয়ম আক্তার ইকোর। এরপর থেকে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য প্রায়ই ফোন দিতেন মিজান। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই অশোভন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা এবং রহস্যময় আচরণে শুরু হলে পুলিশ কর্মকর্তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন মরিয়ম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতারণা ও জবরদস্তির আশ্রয় নেন মিজান।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত ১৪ জুলাই মিজান তাকে ফোন দিয়ে বলেন নিজের আচরণের জন্য তিনি খুবই দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। মরিয়ম এতে ক্ষমা করে দিলে মিজান বলেন, তিনি একটিবার সাক্ষাৎ করে সরাসরি দুঃখ প্রকাশ করতে চান। এতে রাজি না হওয়ায় হুমকি দেয়া শুরু করেন পুলিশ কর্মকর্তা। জানান, সাক্ষাৎ করতে না এলে তিনি মরিয়মের বাসা আসবেন। ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে মরিয়মের ব্যক্তিগত বিভিন্ন কথাবার্তা ও যাবতীয় তথ্য তার কাছে আছে বলেও ইঙ্গিত দেন।

বাধ্য হয়ে মরিয়ম পান্থপথের বাসা থেকে বের হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে দেখা করতে গেলে কৌশলে তাকে প্রাইভেট কারে উঠিয়ে পূর্বাচলে নিয়ে যান ডিআইজি মিজান। সেখানে ৩শ ফুট সড়কের পাশে নামিয়ে মরিয়মকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় চোখ বেঁধে গাড়িচালক গিয়াস এবং দেহরক্ষী জাহাঙ্গীরের সহায়তায় বেইলি রোডের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চার মাস ধরে চলতে থাকে নির্যাতন।

যা বললেন ভুক্তভোগী নারী:

মরিয়ম আক্তার ইকো বলেন, ‘গাড়িতে বসে অনেক চিল্লাচিল্লি করি। এরপর পূর্বাচলে যাওয়ার পর আমি রাগ হয়ে তাকে কিছু গালিগালাজ করেছি। কারণ সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে উইদাউট পারমিশন এভাবে ফিল্মি স্টাইলে আমাকে তুলে আনতে পারেন কিনা, আপনিই বলেন?’ এরপর ইকো বলেন, ‘এসব কথা বলেছি। বারবার বলি আমাকে বাসায় নিয়ে চলেন। একপর্যায়ে তার ব্যক্তিত্বে আঘাত দিয়ে কিছু কথা বলা হলে তিনি দিশেহারা হয়ে আমাকে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে এতটাই ক্রেজি হয়েছিলেন যে আর্মস মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়ে বলেন, গুলি করে মেরে ফেলব। তখন আমিও বলি, ওকে শুট মি।’

ভুক্তভোগী এই নারী বলেন, ‘লোকটা আমার বাসা থেকে আমাকে তুলে নিয়ে আসছে, এটা কোন ধরনের তামাশা? এটা তো প্রতারণার শামিল। গাড়িতে বসে কৌশলে আমার ফোনটাও নিজের কব্জায় নিয়ে নেন তিনি। একপর্যায়ে অভিনয় শুরু করেন। একই সময় একটি বেসরকারি টিভির সংবাদ পাঠিকা তার নাম দেখেছি… ডিআইজি মিজানকে ফোন করেন। ওই সময় মোবাইলটি এনে ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলে সাহায্য চাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপরই তিনি আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন আরও বাড়িয়ে দেন। একপর্যায়ে ডিআইজি মিজানের হাতের আঘাতে আমার চোখ-মুখ ফুলে যায়। নাকফুল ভেঙে রক্ত পড়তে থাকে। মার খেয়ে আমি শক্তিহীন হয়ে যাই। তিনি নিজেও কন্ট্রোলের বাইরে চলে যান। ভয়ে আমিও আর কোনো কথা বলতে সাহস করিনি। এ অবস্থায় তিনি দু’জন লোককে ফোন করেন। তার মধ্যে একজন হচ্ছেন আমার বিয়ের উকিল বাপ ডিআইজি মিজানের গাড়িচালক গিয়াস উদ্দিন এবং অপরজন হচ্ছেন তার বাসার গৃহকর্মী কনস্টেবল জাহাঙ্গীর। তাদের দু’জনকে বারিধারার একটি স্থানে আসতে বলেন। এ সময় গিয়াস চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। গিয়াস বলছিলেন স্যার আমার জর। এরপর মিজান বলেন, তোমার জর থাক আর যাই থাক তোমাকে আসতেই হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তোমাকে আসতেই হবে। জাহাঙ্গীরকে নিয়ে আস। ওই অবস্থায়ই একজন একটি মোটরসাইকেলে গিয়াসকে নামিয়ে দিয়ে যায়। ডিআইজি মিজান বারিধারায় গিয়ে গিয়াসকে গাড়ি চালাতে দিয়ে পেছনের সিটে আসেন। একই সময় জাহাঙ্গীরও সেখানে উপস্থিত হয়। ওদের দু’জনকে দেখে আমার একটু সাহস হল। তাদের সামনেই বললাম, আমাকে ছেড়ে দেন। এরপর উত্তেজিত হয়ে ওড়না দিয়ে আমার মুখ বেঁধে ফেলেন ডিআইজি মিজান। তাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে আমার মনে হয়েছে পুরোটাই একটা নেটওয়ার্ক ছিল। সেখান থেকে সরাসরি বেইলি রোডের বেইলি রিজের অ্যাপার্টমেন্টের (লিফটের ৪-এ এম-৪) বাসায় আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা। আমি নিজেই ওড়নার বাঁধন খুলে জিজ্ঞেস করলাম আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? ডিআইজি মিজান বললেন, কোনো সমস্যা নাই এটা আমার বাসা। খালাম্মা (ইকোর মা) এলে তুমি চলে যাবে। ভয়ে আমি আর মাথা গরম করিনি। বাসায় গিয়ে বুঝলাম এটা পূর্বপরিকল্পিত। তখন আমার মধ্যে এক ধরনের ভয় এলো। আর বারবার মনে হচ্ছিল ডিআইজি মিজান নিজে সেফ হওয়ার জন্য উল্টাপাল্টা কিছু একটা করে ফেলতে পারে। তখন চিৎকার শুরু করলাম। কিন্তু আমাকে কেউ সাহায্য করতে আসেনি। আমি প্রচণ্ড সিনক্রিয়েট করলাম। যাতে বিরক্ত হয়ে আমাকে বের করে দেয়। তখন গিয়াস আমার ডান হাত ধরে আছে, জাহাঙ্গীর আমার বাম হাত ধরে রাখে। এ অবস্থায় উনি (ডিআইজি মিজান) উড়ে এসে আমাকে মারতেছেন। আমি বাস্টার্ড বলে গালি দেয়ায় তিনি আমাকে এভাবে মারেন। শারীরিক নির্যাতনে আমি অনেকটা অজ্ঞানের মতো হয়ে যাই। তাদেরকে আমি বললাম, একটা মেয়েকে আপনারা তিনজনে মিলে মারতেছেন, লজ্জা করে না আপনাদের? মাইর খেয়ে মনে হয়েছে অনেক ক্ষোভ ছিল আমার ওপর। বিয়ের পরও অনেক মার খেয়েছি। এখনও জানতে ইচ্ছে করে, কেন এত ক্ষোভ ছিল আমার ওপর।’

ইকো বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে ডিআইজি মিজানের বন্ধু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডা. গাজী শামিম হাসান ওই বাসায় হাজির হন । তিনি আমাকে বোঝাতে শুরু করেন। বলেন, আমার দোস্ত অনেক রাগী। আপনার সঙ্গে মিসবিহেভ করেছে। সে আসলে আপনাকে অনেক লাভ করে। আমি বললাম, ঠিক আছে মানুষ মানুষকে লাভ করতেই পারে। তার মানে এই নয় যে জোর করে ভালোবাসা আদায় করতে হবে। ভালোবাসার দরজা থাকবে আলাদা। এটা কি করা হচ্ছে। আপনার ক্ষমতা আছে বলেই আপনি তুলে নিয়ে আসবেন? বাই দিস টাইম তিনি (অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজান) স্ট্রোক করার মতো একটা নাটক করলেন। তিনি পড়ে গেলেন। এরপর গাজী শামিম হাসানকে বললাম, ঠিক আছে উনি আমাকে লাভ করেন। উনাকে আম্মার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমাকে বাসায় দিয়ে আসেন। আমার সঙ্গে যা করা হয়েছে তার কিছুই বলব না। এর মধ্যে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন আমাকে সুস্থ করার কথা বলে ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর আর আমার সেন্স ছিল না। পরদিন ১২টা বা ১টার দিকে সেন্স আসার পর দেখতে পাই আমি তার (ডিআইজি মিজান) বেডরুমে। আমার যে সালোয়ার-কামিজ পরা ছিল সেটা নেই। তার স্লিপিং ড্রেস পরা। এটা দেখার পর আবারও আমার মাথা গরম হয়ে যায়। তখন বাসায় গিয়াস ও জাহাঙ্গীরকে ডেকে বললাম, এই তোমাদের স্যার কোথায়? আমার ড্রেস কে চেঞ্জ করেছে? ওরা ফোন দিয়ে তাকে জানায়। তিনি হয়তো ডিএমপিতেই ছিলেন। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই চলে এসে আমাকে বলতেছেন, বি কুল। আমিই ড্রেস চেঞ্জ করেছি। বিকজ তোমার অবস্থা ভালো ছিল না। রেস্ট নেয়ার জন্য আমি চেঞ্জ করেছি।’

তিনি বলতে থাকেন, ‘এরপর তো একটা মানুষ আর স্বাভাবিক থাকবে না। আই ওয়েন্ট টু গো ফর সুইসাইড। আমি আর বাঁচতে চাই না। বাসায় যাওয়ারও দরকার নাই। মারা গেলেই বেটার। আমি সুইসাইড করার জন্য গ্যাসের চুলায় নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এ সময় ওড়না জ্বলে যায়। প্রচণ্ড চিল্লাচিল্লি করলাম। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে যে, ‘সামথিং হ্যাপেনড দেট নাইট…। বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমার কাছে মাফও চান। বলেন আমি ভুল করে ফেলেছি। আমি তোমার আম্মার সঙ্গে কথা বলব। তো আমি বললাম আমার কতটুকু ক্ষমতা আছে আমি আপনাকে মাফ করব। ক্ষমতাটাও তো আমার লিমিটের মধ্যে থাকতে হবে। আম্মুকে ট্যাক্টফুলি তিনি ডাকেন। ক্ষমা চান। আবার আম্মুকে হুমকি দিয়ে বলেন যে, আপনি যদি এটা বাইরে বলাবলি করেন তাহলে অনেক খারাপ হবে। আপনার নেত্রিত্বও চুকিয়ে দেব। ঢাকা শহরে একটা এসপি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারে। আর আমি তো ডিআইজি মিজান, আমি অনেক কিছু করতে পারি। হুমকির ভয়ে আম্মা কোনো কিছু বলতেও পারছিলেন না। ১৫ ও ১৬ জুলাইও আমি সেখানে। ১৬ জুলাই আমি কৌশলে আম্মুর সঙ্গে কথা বলার কথা বলে খালুকে (কৃষক লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা) ফোন করি। তখন একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ওর কাছে ফোন আসে। খালামণিও (একজন সংসদ সদস্য) ফোন করেন। এরপর তিনি একটু ভয় পান। এরপর তাৎক্ষণিক তিনি আম্মুকে ফোন করে বলেন ঠিক আছে, খালাম্মা আমি ওকে নিয়ে আসছি। আধা ঘণ্টা পর আবার মত পরিবর্তন করে বলেন- আসলে খালাম্মা ওখানে (ইকোর বাসা) বসে কথাবার্তা বলাটা ঠিক হবে না। আমার অনেক দোষ আছে আপনি আমার ফ্ল্যাটে আসেন, আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। তখন আম্মু বলেন, না আমার গাড়ি আছে তোমার গাড়ি পাঠাতে হবে না। পান্থপথের বাসা থেকে তার গাড়ি ফেরত আসে। তার আরেক ড্রাইভার জিহাদ ওই গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। পরে আমাদের গাড়ি নিয়েই আম্মু আসেন। এর আগে তিনি গেটে বলে রাখেন, সরকারি কর্মকর্তার বাসায় কেউ যেতে হলে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যায় না। সেভাবেই গেটের সিকিউরিটি আম্মুকে বলে ফোন রেখে যাওয়ার জন্য। তিনিও ফোন রেখে বাসায় ঢোকেন। ওইখানে তিনি শাড়ি, নাকফুল, চুড়ি, গয়না রেডি করে রাখেন। এ বিষয়টি আমিও জানি না। আম্মু আসার পর তাৎক্ষণিক তার ব্যবহার পরিবর্তন করে বলেন- নো আপনার মেয়ে এখান থেকে যেতে পারবে না। বিয়ে হবে। আপনার মেয়েকে হয় সেটেল্ড করে যেতে হবে, না হয় আপনার মেয়ের লাশ বের হবে। এ কথা শুনে আম্মু হতবাক। আম্মু বললেন, এটা কি? এখানে বিয়ে শাদির প্রশ্ন আসতেছে কেন? আমার জানামতে তোমার যে বয়স স্ত্রী-সন্তান থাকার কথা। তারা কোথায়? তখন ডিআইজি মিজান বলেন, না তারা কেউ নাই। তখন আম্মু আবার বলেন, তোমার স্ত্রী-সন্তান নাই ভালো কথা, কিন্তু এভাবে কি তুমি একটা মেয়েকে তুলে আনতে পার? এ কথার জবাবে ডিআইজি মিজান বলেন, হ্যাঁ আমি পারি। আপনারা বিষয়টাকে না প্যাঁচিয়ে সমস্যাটা সমাধান করেন। এ কথা বলে তার আর্মসটা দম করে টেবিলের ওপর রাখেন। তখন আমার মধ্যে ভয় লাগে। ভাবছিলাম, এখন মা-মেয়ে দু’জনই তো তার কৌশলে ফ্ল্যাটে বন্দি হয়ে গেছি। এখন কোনো উপায় নেই, বেরও হতে পারব না। তখন আমি বললাম, ওকে হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট? তিনি বললেন, চল বিয়ে করে ফেলি। এবার যাতে তিনি বিয়েতে রাজি না হন সে জন্য আমিই বললাম, বিয়ে করতে চান তো? কাবিন দেবেন এক কোটি টাকা। আমার ধারণা ছিল সরকারি কর্মকর্তা এক কোটি টাকা দিয়ে বিয়ে করতে চাইবেন না। তিনি বললেন, না এক কোটি টাকা নয় ৫০ লাখ টাকা কাবিন। এর বাইরে একটা কথা বললে দু’জনের লাশ ফেলে দেব। এ কথা বলে আবার দাঁড়িয়ে যান। এবার আমি ভয় পাই এ কারণে যে, হয়তো এখন আম্মুসহ আমাকে হেনস্তা করবে। ওইদিন আমাদের লাইফটাই দরকষাকষির মধ্যে চলে যায়। দরজা বন্ধ, নিচে সব জায়গায় মেকানিজম করা। সমস্ত ফোন কন্টাক্ট বন্ধ। এ অবস্থায় ডিআইজি মিজানের খাচায় বন্দি হয়ে আম্মুকে আমি সেভ করতে চেয়েছি, আম্মু আমাকে সেভ করতে চেয়েছেন। মগবাজার কাজী অফিসের কাজী ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়।’ বিয়ে পড়িয়েছেন কে জানতে চাইলে ইকো বলেন, ‘দুজন কাজী ছিল। একজনের নাম নূর হোসেন বলে শুনেছি। বিয়ের কাবিনের কপি ওই সময় আমাদের দেয়া হয়নি। কাবিনের একটা রসিদ আমাদের হাতে দেয়া হয়। এইভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।’

আরো সংবাদ