আলাদা অস্ত্র মামলায় ১২ জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে যশোরের একটি আদালত। সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া উভয় মামলার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা মফিজপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে রায়হান আহমেদ, আমজাদ হোসেনের ছেলে আল আমিন, খোলাডাঙ্গার আবুল বাশারের বাড়ির ভাড়াটিয়া আসাবুর রহমান হাসিবের ছেলে সাদমান রহমান সাকিন, খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজার এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে রিয়াদ হাসান, টোকনের ছেলে সরন, শহরের সার্কিট হাউজপাড়ার বাবলু মোড়লের ছেলে আব্দুর রহমান সাগর, খোলাডাঙ্গার আলম শেখের ছেলে সাহমান সিদ্দিকী।
অপর রিমান্ডের আসামিরা হলো, যশোর সদরের বাদিয়াটোলা গ্রামের আব্দুর কুদ্দুসের ছেলে তারেক হোসেন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম দুলালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, ঝাউদিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন, নতুন খয়েরতলার জনৈক মৃত জহুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমানের ছেলে মাহাবুবুর রহমান কোকিল ওরফে আকাশ ওরফে ফয়সাল ও নতুন উপশহরের ই-ব্লকের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফি।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজারের ব্যাব্যবসায়ী জামায়াত নেতা সজল হত্যার ছায়া তদন্তকালে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ নভেম্বর রাতে রেল লাইনের পাশ থেকে সাদমান রহমান সাকিন ও আল আমিনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের গ্যালারির অস্ত্র প্রদর্শন ও মাদক সেবনের ভিডিও পাওয়া যায়। পরে আটক দুইজনের স্বীকারোক্তিতে অপর ৫ জনকে আটক ও একটি রিভলবার ও ওয়ান শ্যূটার গান, একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম আটক ৭ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্তকর্তা ডিবির এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন আটক ৭ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। গতকাল রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপর দিকে, গত ১২ নভেম্বর যশোর সদরের বাদিয়াটুলা গ্রামের মেহের আলী হত্যা মামলায় আটক কোকিলের স্বীকারোক্তিতে ৫ জনকে আটক ও একটি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, একটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ডিবির মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। গত ১৮ নভেম্বর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (ডিবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আটক ৫ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। রোববার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।