আজ - বুধবার, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১২:৫০

অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার আসামি মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নূর হোসেনকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াছমিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায ঘোষণা করেন। একই দিন একই আদালতে ঘোষিত আরেকটি চাঁদাবাজির মামলা থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে হওয়া ১১টি মামলার মধ্যে মোট ৫টি মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। যার মধ্যে চাঁদাবাজির ৩টি মামলাতেই নূর হোসেন ও তার সহযোগিরা খালাস পেয়েছেন। এখনও ৬টি মামলা নূর হোসেনের বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে অস্ত্র ও মাদকের মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আলোচিত সাত খুনের ঘটনার পর ৩০ এপ্রিল নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পালিয়ে যায় নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা। ওই বছরের মে মাসে নুর হোসেন ও তার সহযোগীদের নামে ইস্যু করা অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু পলাতক নূর হোসেন তার নামে ইস্যু করা দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দিয়ে নিজের হেফাজতে রাখে। ফলে অবৈধ ঘোষিত অস্ত্রগুলো থানায় জমা না দিয়ে নিজের হেফাজতে রাখায় নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩ আগষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অস্ত্র মামলা করে পুলিশ। পরে নূর হোসেনের অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি রিভলবার ঢাকার মালিবাগ রেললাইন এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত পয়েন্ট ২২ বোরের রাইফেলের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

ওই মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় আদালতে। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মামলার একমাত্র আসামি নূর হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।

এদিকে একই আদালতে চলমান আরও একটি চাঁদাবাজি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আকরাম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে করা ওই মামলায় নূর হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। একই সাথে এই মামলার নূর হোসেনের অন্য সাত সহযোগিকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনকে কঠোর নিরাপত্তায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। তার বিরুদ্ধে চলমান দুটি অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরো সংবাদ