পটুয়াখালী প্রতিনিধি: আইনি সহায়তা চেয়ে নিজের থানাতেই গত মঙ্গলবার সাধারণ ডায়রি(জিডি) করেছেন পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এনিয়ে বাউফল উপজেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমান সময়ের ‘প্রচণ্ড ক্ষমতাধর’ পুলিশ বাহিনীর ওসিকে কেন নিরাপত্তা চেয়ে নিজের থানায় জিডি করতে হয়েছে? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম খানজাহান আলী 24.comকে বলেন, একটি চাঁদাবাজি মামলায় মনিরুল ইসলাম শাহীন নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিই। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১১ মিনিটে নিজের মোবাইল ফোন থেকে(০১৭৫২১৮৩৬১৬) থেকে আমাকে কল করে হুমকি দেন তিনি।
তিনি জানান, আমাকে এখান থেকে অন্য জায়গায় বদলির এবং আমার অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করারও হুমকি দেন শাহীন। এছাড়া বিভিন্ন উল্টোপাল্টা কথা বলেন তিনি। তাই আমি জিডি করেছি।
তিনি আরও জানান, শাহীনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যার প্রচেষ্টা এবং দুটি চাঁদাবাজির মামলা মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার ভবঘুরে বখাটে যুবক। চাঁদাবাজি করাই তার কাজ।
এদিকে ওসির অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শাহীন খানজাহান আলী24.comকে মোবাইল ফোনে জানান, তিনি এখনও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ডা. বাদশা মিয়ার অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি জানান, চাঁদার দাবিতে স্থানীয় সন্ত্রাসী মাহাবুবের নেতৃত্বে ২০১৫ সালের ১ মে তার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সন্ত্রাসীরা আমার হাত-পা ভেঙে দেয়। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন।
শাহীন বলেন, গত মঙ্গলবার হাসান ঢালী নামের এক আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে আমার বাবাকে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি আমি ওসিকে জানাই এবং তার কাছে আইনি সাহায্যে চেয়েছি মাত্র। অথচ তিনি উল্টো তাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে নিজেই জিডি করেছেন।
এই বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান খানজাহান আলী24.com কে জানান, বিষয়টি মিডিয়ায় যেভাবে এসেছে, আসলে সেরকম কিছুই নয়। ওই থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওসিকে ফোন দিয়ে তার পক্ষে থাকার কথা বলেন। এখানে হুমকি দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, একটা স্বাভাবিক জিডি হয়েছে এবং এই জিডির কোনো কার্যক্রমও চলবে না। যদি আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।