খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক পিপিএম বলেছেন, ‘দুষ্ট লোক দুই একটা ভালো কাজ করে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ভিতরে ঢোকে। পরবর্তীতে দেখা যায় তাদের দ্বারাই সমাজে বড় বড় ধরণের ক্ষতির কারণ হয়। কারা মন্দিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, কারা মাইক বন্ধ করে দেয় এবং কারা নাশকতা তৈরি করে, এগুলো খেয়াল করতে হবে। আগামীতে এমন সমাজ গড়তে হবে যেন পূজা মন্দিরে পাহারা দেয়া না লাগে।’
বুধবার দুপুরে শারদীয় দুর্গা পূজার নবমি’র দিনে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে শ্রীশ্রী সর্বমঙ্গলা মাতৃ মন্দির তীর্থ কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা আগামীতে যেন জীবনের সম্পদ ও শোভা হয়ে ওঠে, সেই ভাবে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে। যারা খারাপ তারা সবদিনই খারাপ। সমাজে যারা ভালো মানুষ রয়েছে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাভক্তি থাকতে হবে।’ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দেব আঢ্য’র সভাপতিত্বে রেঞ্জ ডিআইজি আরো বলেন, ‘সনাতন, মুসলিমসহ সকল ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে এদেশে বসবাস করে আসছে। আমাদের এই সম্প্রীতির বন্ধন কেউ যেন নস্যাৎ করতে না পারে।’ তিনি জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আত্মার প্রতি মাগফেরাত কামনাসহ যারা এখনো অসুস্থ রয়েছেন তাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেন।
মন্দির কমিটির সভাপতি রমেন রায়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যদেন এবং উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার এটিএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলি আসগর লবি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আনাম, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা, হাইওয়ে পুলিশের ওসি শেখ কামরুজ্জামান চানু, আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, মন্দির কমিটির ইন্দ্রজিত দেব, জয়দেব মন্ডল, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মোল্যা কবির হোসেন, বিএনপি নেতা শেখ শাহিনুর রহমান, মশিউর রহমান লিটন, শেখ ফরহাদ হোসেন, ব্যাংকার জাহাঙ্গীর আলম, মনিরুজ্জামান মনি, হাসানুজ্জামান মোড়ল, আব্দুস সালাম, কবির হোসেন ডাবলু, কামাল হোসেন, মফিজ শেখ প্রমুখ।